মন্দায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি

মুখরিত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে সিডনির প্রাণকেন্দ্র থেকে তোলা। ছবিঃ প্রথম আলো
মুখরিত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে সিডনির প্রাণকেন্দ্র থেকে তোলা। ছবিঃ প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মন্দায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি। এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নেওয়া বিধি-নিষেধের কারণে গত মার্চ থেকে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে এই বছরের মার্চ প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে দেশটিতে। বলা হচ্ছে, গত ২৯ বছরে এই প্রথম এমন মন্দায় পড়ল অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি।

সর্বশেষ ১৯৯১ সালে এমন অবস্থায় পড়েছিল দেশটি। তখন ১১৯১ সাল, অর্থমন্ত্রী পল কেটিং-এর সময়। জিডিপিতে মার্চ ও জুন পর পর দুটি নেতিবাচক প্রান্তিক রেকর্ড করেছিল দেশটি।

দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এবিএস) জানায়, করোনার প্রাদুর্ভাবে থেমে গেছে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বেকার হয়ে আছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। ফলে ৩১ মার্চে শেষ হয়ে যাওয়া এই বছরের প্রান্তিকে জিডিপি কমে যায় ০ দশমিক ৩ শতাংশ।

পার্লামেন্ট হাউজে গণমাধ্যমকে জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, করোনা মহামারির কারণে জুনের প্রান্তিকেও একটি ধস আসছে। সেটা মার্চ প্রান্তিকের চেয়েও বড় হতে যাচ্ছে। পর পর দুই প্রান্তিকে ধসের ঘটনা ১৯৯১ সালের পর আর দেখেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে দেশটির অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াতেও এর প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি হবে, এটা এখনো স্পষ্ট নয়।

অস্ট্রেলিয়ার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গণমাধ্যমে এবিসি-এর সমালোচনামূলক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া যে মন্দায় আছে সেটা এত ঘটা করে বলার কিছু নেই। সব কিছু বন্ধ থাকায় অস্ট্রেলিয়া মন্দায় আছে গত কয়েক মাস ধরেই। তবে এর বাস্তব অবস্থা বুঝতে কম করে হলেও সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে । আর বিশ্বব্যাপী যে মন্দার আশংকা করা হচ্ছে, সেটি হয়তো ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।

অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে ১০ জনের। সংক্রমিত মানুষের মোট সংখ্যা ৭ হাজার ২৪০ জন। এ পর্যন্ত ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৬৬৪ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজারের ওপরে। হাসপাতালে ২৩ জন ও ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৪ জন।

এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।