হজের অনুমতি সীমিত আকারে দিতে পারে সৌদি

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিতসংখ্যক মুসল্লিকে হজের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদির কর্তৃপক্ষ। ছবি: রয়টার্স
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিতসংখ্যক মুসল্লিকে হজের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদির কর্তৃপক্ষ। ছবি: রয়টার্স

করোনা মহামারির কারণে এ বছর হজ পুরোপুরি বাতিল না করে অল্প কিছু হজযাত্রীকে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টারর্সের প্রতিবদেন এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি আরবে কয়েক দিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ইতিমধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ। একই সঙ্গে সংক্রমণ বাড়ছে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই। এই প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে এ বছরের আসন্ন হজ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সীমিতসংখ্যক মুসল্লিকে হজের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কর্তৃপক্ষ এবার কেবল ‘প্রতীকী সংখ্যায়’ মুসল্লিদের হজের অনুমতি দেওয়ার বিবেচনা করছে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন না। সবাইকে বাড়তি স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আরেকটি তথ্য রয়টার্সকে জানায়, কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিটি দেশের জন্য নির্ধারিত হজযাত্রীর ২০ শতাংশ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া সম্ভব হতে পারে। তবে তিনটি সূত্রই জানিয়েছে, সৌদির কিছু কর্মকর্তা করোনা ঝুঁকির কারণে এবারের হজ বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন। 

এ বিষয়ে সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় এবং হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের কোনো মুখপাত্র মন্তব্য করেননি।

প্রতিবছর সারা বিশ্বের অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে সৌদি আরব যান। হজ ও বছরব্যাপী ওমরাহ থেকে সৌদি সরকারের বার্ষিক আয় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

এর আগে গত মার্চে এখনই হজের পরিকল্পনা না করে মুসল্লিদের করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি স্পষ্ট হওয়ার আগপর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেয় সৌদি আরব। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওমরাহ পালন। চলতি বছর জুলাইয়ে শেষ নাগাদ হজের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছর প্রায় ২ কোটি হজযাত্রী ওমরাহ পালন করেন। হজ করেন প্রায় ২৬ লাখ।