কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের পর বিজেপির নজর এবার রাজস্থানে
কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের পর বিজেপির নজর এবার রাজস্থানে। গুজরাটের মতো রাজস্থানেও তারা রাজ্যসভার ভোটের আগে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে সচেষ্ট। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিজেই বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, বিধায়ক ভাঙাতে বিজেপি এক-একজনকে ২৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছে।
রাজস্থান বিধানসভার মোট সদস্য ২০০। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১০৭, বিজেপির ৭২। এ ছাড়া ১৩ স্বতন্ত্র বিধায়কের মধ্যে ১২ জন কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। ১৯ জুন রাজ্যসভায় এই রাজ্যের ৩ আসনে ভোট। দল না ভাঙলে কংগ্রেস সহজেই ২টি আসনে জিতবে, বিজেপি অন্যটিতে। কিন্তু বিজেপি দুই আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সেটাই কংগ্রেসের কাছে অশনিসংকেত। দল অটুট রাখতে কংগ্রেস এই বিধায়কদের তাই এক রিসোর্টে এনে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব এক-একজনকে ২৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছে। অগ্রিম হিসেবে দিতে চেয়েছে ১০ কোটি।
কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশে দল ভাঙিয়ে বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে। রাজ্যসভার ভোটের আগে গুজরাটেও তারা একাধিক কংগ্রেসিকে পদত্যাগ করিয়ে বাড়তি একটি আসন জেতার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তারা একই কৌশল নিয়েছে রাজস্থানের ক্ষেত্রেও। রিসোর্টে আশ্রয় নেওয়া স্বতন্ত্র বিধায়কদের কেউ কেউ টাকা দেওয়ার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে স্বীকারও করেছেন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব যদিও তা অবাস্তব বলেছে। প্রদেশ সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেছেন, ‘এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায় দলীয় সদস্যদের কংগ্রেস ভরসা করে না।’
রাজ্যসভার ভোট নির্দিষ্ট ছিল ২৬ মার্চ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য তা পিছিয়ে যায়। সেই ভোট এখন হবে ১৯ জুন। অশোক গেহলট এই প্রসঙ্গে বলেন, গুজরাট ও রাজস্থানে বিধায়ক কেনাবেচা পর্ব শেষ করতে পারেনি বলেই বিজেপি রাজ্যসভার ভোট পিছিয়ে দেয়। গুজরাটে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙানোর পর বিজেপি এবার নজর দিয়েছে রাজস্থানে। তিনি বলেন, বিজেপির ধাক্কা খাওয়ার সময় এসে গেছে। মানুষ ওদের খেলাটা ধরে ফেলেছে।