করোনা নিয়ে দোলাচলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ

কলকাতার যাদবপুরের কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতার যাদবপুরের কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু ও সুস্থতার হার নিয়ে একধরনের আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে কলকাতাসহ সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, রাজ্যে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীরা দিন দিন সুস্থ হয়ে উঠছেন। অর্থাৎ, সুস্থতার হার বাড়ছে। এখন এই সুস্থতার হার ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন তথ্যে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে কাজ করছে আশঙ্কা। কারণ, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছে ৪১৫ জন। একই সময় মারা গেছে ১০ জন।

সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা–সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ৯০৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯৫ জনে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৩৪ জন। বলা হচ্ছে, সোমবারের পর গতকাল সুস্থতার হার বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এতে চিকিৎসকেরা দারুণ আশান্বিত।

রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮ জন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন ৫ হাজার ৩৮৬ জন।

পশ্চিমবঙ্গে করোনা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কলকাতা শহরে। রাজ্যের মোট কনটেনমেন্ট জোনের অর্ধেকের বেশি এখন কলকাতায়। এতে করোনা নিয়ে কলকাতাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সুরক্ষার দাবি
ভারতের লাদাখ সীমান্তে চীনের অতর্কিত হামলায় হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সুরক্ষার দাবি তোলা হয়েছে।

চীনা হামলার প্রতিবাদ করে জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও লোকসভার কংগ্রেস দলের নেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, অবিলম্বে এই হামলার যোগ্য জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘৫৬ ইঞ্চির ছাতি দেখে আপনাকে (নরেন্দ্র মোদি) প্রধানমন্ত্রী করেছিল ভারতের মানুষ। আমরা সেনাদের শহীদ হওয়ার বদলা চাই।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘দেশের সেবা করার সময় ভারতীয় সেনাদের এই বলিদানকে আমি সম্মান জানাই। বীর জওয়ানদের পরিবারকে আমি সহমর্মিতা জানাই। ঈশ্বর তাঁদের শোক সহ্য করার শক্তি দিক।’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল বিকেলে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চীনা আগ্রাসনের ব্যাপারে আমাদের সেনাবাহিনী সজাগ রয়েছে। তারা যোগ্য জবাব দিয়েছে। আমরা কখনো সীমান্তে উত্তেজনা চাই না।’

বিজেপি গতকাল পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছে। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিসহ সাংসদ, বিধায়ক ও জেলা নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি চিঠি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে শুরু করেছেন। সেখানে তাঁরা বিজেপির উন্নয়ন কর্মসূচি ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ার পক্ষে মোদির আবেদন পৌঁছে দেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে।