বাংলাদেশ বিমানসংক্রান্ত প্রচারকে 'অপ্রাসঙ্গিক' বলল ঢাকার জাপানি দূতাবাস

ফাইল ছবি। ছবি: রয়টার্স
ফাইল ছবি। ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসের প্রচারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন জাল করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ নিয়ে জাপান যাওয়ার পর সেখানে তাঁদের ওপর চালানো করোনা পরীক্ষা পজিটিভ প্রমাণিত হলে বিমানের ফ্লাইটের জাপানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সংবাদ সঠিক নয়।

দূতাবাস জানায়, জাপানের কর্তৃপক্ষ আগত সব যাত্রীর ওপর যে কোয়ারেন্টিন–ব্যবস্থা আরোপ করে, তার মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে উপসর্গের কথা জানানো ছাড়াও দেহের তাপমাত্রা নেওয়া এবং প্রয়োজনে পিসিআর পরীক্ষা গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত আছে।

জাপান সরকার একই সঙ্গে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগমনের পর ১৪ দিন পর্যন্ত বাড়িতে স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা এবং গণপরিবহনে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানায়। ফলে চার্টার্ড ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের বিমানে আরোহণ কিংবা জাপানে প্রবেশ করার আগে কোনো রকম সার্টিফিকেট দেখানোর দরকার হয় না। তাই সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক অপ্রাসঙ্গিক।

দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে জাপান পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে এবং গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে আসা চার্টার্ড বিমানের চারজন যাত্রী জাপানে প্রবেশ করার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হলেও তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার স্থান কিংবা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হচ্ছিল যে বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন বাংলাদেশি জাল করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে টোকিও পৌঁছান। এরপর জাপানে চালানো পরীক্ষায় তাঁরা পজিটিভ প্রমাণিত হলে জাপানের কর্তৃপক্ষ বিমানের জাপান প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানানো হয়েছিল।