রামপাল নিয়ে জার্মানিতে বিক্ষোভ

জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফিশটনার’-এর সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফিশটনার’-এর সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সুন্দরবনের রামপালে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে, জার্মানির পরিকল্পনা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। গত শুক্রবার ১৯ জুন জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে ফ্রাইডে ফর ফিউচারসহ আরও তিনটি সংগঠন, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফিশটনার’–এর সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এদিন বিক্ষোভকারীরা ফিশটনার কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ হাজার মানুষের স্বাক্ষর–সংবলিত একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কিনারায় রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যার হাত থেকে লাখ লাখ মানুষের রক্ষা পেতে সমস্যা হবে।

জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফিশটনার’-এর সদর দপ্তরে ২৫ হাজার মানুষের স্বাক্ষর–সংবলিত একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফিশটনার’-এর সদর দপ্তরে ২৫ হাজার মানুষের স্বাক্ষর–সংবলিত একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

এর আগেও জার্মানিতে আরও কিছু সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ফিশটনার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিল। কিন্তু ফিশটনার কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। পরে জলবায়ু ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো জার্মানিজুড়ে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যময় ও প্রাকৃতিক সুরক্ষাপ্রাচীর সুন্দরবনকে রক্ষায় ২৫ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে।

গত শুক্রবার স্টুটগার্ট শহরে প্রায় কয়েক শ পরিবেশবাদী ‘ফিশটনার’–এর সদর দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর ওই ২৫ হাজার স্বাক্ষর–সংবলিত আবেদনটি হস্তান্তর করে। এ সময় ফিশটনার কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদর সঙ্গে আলোচনর বিষয়টি নাকচ করে শুধু স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি নিতে রাজি হয়।