ফ্রান্সে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিঅঁন ও তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গত শনিবার তাঁরা প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রেসিডেন্ট তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রেসিডেন্ট সারকোজি। ওই নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক মাস আগেই তিনি মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই বিষয়টি মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার আগেই মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করলেন। পেনশন আইনের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েক মাস ধরেই ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।প্রেসিডেন্ট সারকোজি এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। সরকারি বিভিন্ন সূত্র জানায়, পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিঅঁনকে নতুন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য পদত্যাগী পরিবেশমন্ত্রী জ্যঁ লুই বগ্যলোর নামও শোনা যাচ্ছে। বগ্যলোর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একজন নেতা জানান, বগ্যলো প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখছেন।প্রেসিডেন্ট সারকোজি মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৩৭ থেকে ২৬ জনে নামিয়ে আনতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও নতুন সদস্যরা শপথ না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন।ফ্রান্সে পেনশন আইনের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চাপে আছে সারকোজির সরকার। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট সারকোজির জনসমর্থন শতকরা ৩০ ভাগে নেমে এসেছে। এটা তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে কম। প্রেসিডেন্ট সারকোজি ২০১২ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের আশায় গত মার্চে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের কথা বলেন। গত জুন মাসে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে পেনশন সংস্কার আইন পাশ হওয়ার পর গতকাল দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করেন। পদত্যাগী দুজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবশ্য অতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় তহবিলে অবৈধভাবে অর্থ জোগানের অভিযোগে তদন্ত চলছে অপর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও।তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি প্রেসিডেন্ট সারকোজির একটি কৌশল। নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই স্থান পাবেন। এএফপি, বিবিসি।