ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারবে না: রাজনাথ

রাজনাথ সিং
রাজনাথ সিং

পূর্ব লাদাখে ভারতীয় এলাকা এখনো চীনা ফৌজের দখলে রয়েছে কি না, বিরোধীদের সেই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব আজও নেই। তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ শুক্রবার লাদাখ সফরে গিয়ে বলেন, ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ কব্জা করতে পারবে না। তা সেই দেশ যতই শক্তিশালী হোক।

এর আগে গত ৩ জুলাই হঠাৎ লাদাখ সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দুদিনের সফরে লাদাখ ও জম্মু–কাশ্মীর এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্ত বিবাদের মীমাংসায় ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনার মধ্য দিয়েই সমাধান হওয়া উচিত। যদিও কতদূর তা সম্ভব হবে সেই গ্যারান্টি দিতে পারব না। তবে এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, পৃথিবীর কোনো শক্তি ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নিতে পারবে না।

পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭৬ জন। লাদাখ সফরে এসে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, জওয়ানদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। গত ৩ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকা তাঁর সফর স্থগিত রাখা হয়। কাউকে টের পেতে না দিয়ে লাদাখে চলে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনাথের সঙ্গে লাদাখ সফরে এসেছেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুল নরভানে ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতও। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সামরিক মহড়াও দেখেন।

রাজনাথ লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে লুকুং ঘাঁটিতেও যান। ওই ঘাঁটি পাহারায় দায়িত্বে ভারতীয় সেনার পাশাপাশি রয়েছে আধা সামরিক বাহিনী ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পৃথিবীকে ভারতই শান্তির বার্তা শুনিয়েছে। ভারতই একমাত্র দেশ যে কখনো কাউকে আক্রমণ করেনি। কারো জমি দখল করেনি।

লাদাখে চীন হঠাৎ কেন এমন আগ্রাসী হলো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক ভুল ও ব্যর্থতা ভারতের শক্তির ভিত দুর্বল করে দিয়েছে। চীন সেই সুযোগটাই নিয়েছে।

রাহুল বলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক, অর্থনীতি, মানুষের মনোভাব এবং প্রতিবেশীরাই যে কোনো দেশের রক্ষাকবচ। গত ৬ বছরে এই সব রক্ষাকবচের প্রতিটি ক্ষেত্র নড়বড়ে হয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে রাহুল বলেন, আগে আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক ছিল। এখন সম্পর্ক স্রেফ লেনদেনের। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মোদি সরকার প্রতিবেশীদের ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ করে তুলেছে। অর্থনীতি নিয়ে গর্ব ছিল। এখন ঝুরঝুরে। গত ৫০ বছরে অর্থনীতির এত খারাপ হাল দেখা যায়নি। বেকারত্বের হারও শীর্ষে। ৪০ বছরে এমন হাহাকার দেখা যায়নি। রাহুলের ব্যাখ্যা, মোদি সরকারের এই সার্বিক ব্যর্থতার সুযোগই চীন নিয়েছে।