আফগান কিশোরীর হাতে একে-৪৭ কেন

রাইফেল হাতে আফগান কিশোরীর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া
রাইফেল হাতে আফগান কিশোরীর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া

মেয়েটির চোখের সামনে মা–বাবাকে গুলি করে হত্যা করে তালেবান যোদ্ধারা। মা–বাবার এই অপঘাত মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি এই কিশোরী। বাসায় থাকা একে–৪৭ রাইফেল হাতে তুলে নেয় সে। গুলি ছুড়ে হত্যা করে দুই তালেবান যোদ্ধাকে। ওর গুলিতে আহত হন আরও কয়েকজন। শেষমেশ পিছু হটে ওরা। রাইফেল হাতে কিশোরী হয়ে ওঠে বীরত্বের মূর্ত প্রতীক। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি আফগানিস্থানের ঘোর প্রদেশের গিরওয়া গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। গত সপ্তাহ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েটির এই সাহসিকতার ব্যাপক প্রশংসা করা হচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটি একা হাতে রুখে দাঁড়িয়েছে। মা–বাবা হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে। রাইফেল হাতে তার সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘোর প্রদেশের সরকারি কর্মকর্তারা জানান মেয়েটির এই সাহসিকতার কথা।

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, কিশোরীর বাবা সরকার দলের সমর্থক থাকায় তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে এসে হত্যা করে তালেবান যোদ্ধারা। এ সময় রাইফেল চালিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করে ওই কিশোরী। তালেবান এতে পিছু হটে যায়। পরে দলে ভারী হয়ে তারা আবার এসে হামলা চালায়। ততক্ষণে কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়। গ্রামবাসী এক হয়ে মেরে তাড়িয়ে দেয় হামলাকারীদের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েটির প্রশংসা করে মোহাম্মদ সালেহ নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আমরা জানি, মা–বাবাকে আর ফিরে পাবে না তুমি। তবে এই প্রতিশোধ তোমাকে শান্তি দেবে।’

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ঘোর আফগানিস্তানের অন্যতম অনুন্নত পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ। নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনা এখানে অনেক বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তালেবানদের অনেক সদস্য এখনো বর্তমান সরকার ও সংবিধান উৎখাতের জন্য লড়ছে।