ইরানের জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স
ইরানের জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

ইরানের জ্বালানি বহন করছে সন্দেহে কয়েকটি জাহাজ (কার্গো) জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরান ওই জাহাজগুলো পাঠিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানানো হয়।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, মার্কিন কৌঁসুলিরা গত মাসে ইরানের চারটি ট্যাংকার জব্দ করতে মামলা করেন। ইরান ওই ট্যাংকারগুলোয় গ্যাসোলিন নিয়ে ভেনেজুয়েলায় পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শত্রুদেশের ওপর এভাবে অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।

এই মামলার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে তেল বিক্রি থেকে রাজস্বের প্রবাহ বন্ধ করা। ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। তবে তেহরান দাবি করেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি লুনা, পান্ডি, বারিং ও বেলা নামে ওই চার জাহাজ সাগরপথে জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো হিউস্টনের পথে রয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীকে কাজে না লাগিয়েই জাহাজগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

করোনার সংক্রমণের কারণে ইরানের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। অর্থনৈতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতির চাকা প্রায় অচল। ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া অস্ত্রবিষয়ক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত। ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে শেষ পর্যন্ত না থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন। যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের মুখেই এখন চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে ইরান।