শান্তি পরিকল্পনায় একমত ইউরোপীয় নেতারা

রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা মস্কোতে আলোচনায় বসে ইউক্রেনের সংঘাত অবসানে একটি শান্তি পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে একমত হয়েছেন। আজ রোববার এ পরিকল্পনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে উপস্থাপন করা হবে। খবর এএফপি ও বিিবসির।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো গতকাল শনিবার বলেছেন, পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধ অবসানে এ উদ্যোগ কাজে আসতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত শুক্রবার রাতে মস্কোতে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। তিন দেশেরই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা ওই বৈঠককে ‘উল্লেখযোগ্য এবং গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।
মস্কোতে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই ম্যার্কেল এবং ওলাঁদ দ্রুত মস্কো ত্যাগ করেন। বৈঠকের পর তিন নেতার পক্ষ থেকে যৌথ কোনো সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আজ রোববার তাঁরা ইউক্রেনের সংকট নিরসনে ওই পরিকল্পনার বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করবেন।
নেতারা কিছু না বললেও বৈঠক সম্পর্কে ওই তিন দেশের কর্মকর্তারা অভিন্ন কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই ওই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক এবং উল্লেখযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন। তিন নেতার এ পরিকল্পনাকে গত সেপ্টেম্বরে বেলারুশের মিনস্কে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ বলে ভাবা হচ্ছে।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া নিজের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার পর গত বছরের এপ্রিলে দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যায়। পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের অনেক অংশ রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়।
জার্মানির মিউনিখ শহরে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে গতকাল ইউক্রেনের ঘটনাপ্রবাহ প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তিন ইউরোপীয় নেতার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে কি না, রয়টার্সের এ প্রশ্নের জবাবে সম্মেলনে অংশ নেওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো ইতিবাচক জবাব দেন। পোরোশেঙ্কো জানান, তিনি আশা করছেন, এটি ইউরোপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সাহায্য করবে। এতে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেন, তিনি মনে করেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেন সরকারকে অস্ত্র দেওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে না। জার্মানির মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সরকারকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার চিন্তাভাবনা করছে বলে কয়েকদিন আগে সেদেশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নেতারা শান্তি পরিকল্পনার একটি নকশা প্রণয়নের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।