শান্তিতে নোবেল পেল তিউনিসিয়ার চার সংগঠন

চার সংগঠনের জোট ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেটের প্রধানেরা (বাম থেকে) এমপ্লয়ারস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উইদেদ বোচামাওই, জেনারেল লেবার ইউনিয়নের মহাসচিব হওসিনে আব্বাসি, হিউম্যান রাইটস লীগের প্রেসিডেন্ট আবদেস সাত্তার বেন মূসা ও ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ফাদেল মাহমুদ। ছবি: এএফপি
চার সংগঠনের জোট ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেটের প্রধানেরা (বাম থেকে) এমপ্লয়ারস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উইদেদ বোচামাওই, জেনারেল লেবার ইউনিয়নের মহাসচিব হওসিনে আব্বাসি, হিউম্যান রাইটস লীগের প্রেসিডেন্ট আবদেস সাত্তার বেন মূসা ও ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ফাদেল মাহমুদ। ছবি: এএফপি

তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর সেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের ধারা সুসংহত করার জন্য এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে দেশটির চারটি সংগঠনের একটি জোট।

নোবেল কমিটি বলেছে, ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট নামের শান্তি আলোচক ওই জোটটি তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছে।
আজ শুক্রবার নরওয়ের ওসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান কাচি কুলমান এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

নোবেলজয়ী জোটভুক্ত ওই চারটি সংগঠন হলো তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন, তিউনিসিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড অ্যান্ড হ্যান্ডিক্র্যাফটস, তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লীগ এবং তিউনিসিয়ান অর্ডার অব লইয়ার্স।

তিউনিসিয়ায় চরম সামাজিক অস্থিরতার কারণে যখন গণতন্ত্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন ২০১৩ সালে এই চারটি সংগঠন শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোটবদ্ধ হয়।
নোবেল কমিটি বলছে, তিউনিসিয়া যখন প্রায় গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, তখন এই জোট শান্তিপূর্ণ পথে বিকল্প রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সূচনা করে। এর ধারাবাহিকতায় দেশটিতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়।
নোবেল কমিটি আশা করছে এই পুরস্কার তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রকে আরও সংহত করতে অবদান রাখবে।
এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আসে। এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও পোপ ফ্রান্সিসের নামও ছিল।
নোবেল কমিটি এ বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য ২৭৩ ব্যক্তি এবং সংগঠনকে বিবেচনায় নিয়েছিল। এদের মধ্যে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং পোপ ফ্রান্সিস।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন পাকিস্তানের শিশু শিক্ষার অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই ও ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী।