মুসলমান বলেই সহপাঠীরা পেটাল পাকিস্তানি শিশুকে

.
.

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাত বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক শিশুকে স্কুল বাসে তার পাঁচ সহপাঠী পিটিয়েছে। মুসলিম হওয়ায় পিটুনি খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল ওসমানী নামের শিশুটির বাবা। এ ঘটনার পর মুসলিম পরিবারটি পাকিস্তানে ফিরে গেছেন।
আবদুল উসমানীর বাবা অভিযোগ করেছেন যে, তার ছেলে স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় পথে পাঁচ সহপাঠীর হাতে মার খায়। মুসলমান বলেই এটা হয়েছে। আবদুল উসমানীর ছেলে নর্থ ক্যারোলিনার ওয়েথারস্টোন প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র।
‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগতম’—জিসান উল হাসান উসমানী তাঁর ছেলের আবদুল উসমানীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে এ কথা লিখেছে। হাত ভাঙলে যেভাবে বেধে রাখা হয় ছবিতে উসমানীর বা হাত সেভাবে বেধে রাখা আছে। জিসান উসমানী বলেছেন, ‘আবদুল উসমানী গ্রেড ওয়ানের ছাত্র। মুসলমান হওয়ায় স্কুল বাসে সহপাঠীরা তার সন্তানকে পিটিয়েছে।’

জিসান উসমানী বাজফিড নিউজ নামের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, সন্তান ও পরিবার বৈষম্যের শিকার হওয়ায় তিনি তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে নিজ দেশ পাকিস্তান গেছেন।

সন্তান মার খাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উসমানী বলেন, ছয় বা সাত বছরের একটি শিশু প্রথমে তার ছেলের নাম ধরে ডাকে, এরপরই একটি শিশু মুখে লাথি মারে, অন্য দুজন তাকে আক্রমণ করে এবং লাথি মারে। স্কুল থেকে বাসে বাড়িতে আসার পুরো পথ তারা উসমানীকে পেটায়। পিটুনি খেয়ে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তার একটি হাত মচকে গেছে।

ওয়েক কাউন্টি পাবলিক স্কুলের একজন মুখপাত্র লিসা লুটেন বলেন যে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবিলম্বে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে জিসান উসমানী (৩৮) পাকিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বর্তমানে একটি সিলিকন ভ্যালিতে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে কাজ করতেন।