হট চকলেট, নাকি মিল্ক শেক

হট চকলেট আর মিল্ক শেক মজার স্বাদের পানীয়। উপকরণের ভিন্নতার কারণে স্বাদের পার্থক্য থাকলেও দুটি উপকরণে স্বাদে অসাধারণ। এ দুটি খাবার যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্যও উপকারী। নানা পদের ফলের সমাহারে মিল্ক শেক তৈরি করা হয়। খুব সহজে ঘরে বসেই ফলফলাদি দিয়ে এটি তৈরি করা যায়। হট চকলেট শরীরের জন্য উপকারী। তবে বেশি খেলে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। হট চকলেট ও মিল্ক শেকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের­ খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ

হট চকলেট
হট চকলেট

হট চকলেট

হট চকলেট তৈরিতে চকলেটের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। চকলেট বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের মধ্যে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে। এমনকি পরিমিত পরিমাণে চকলেট ওজন কমায়, মন খুশি রাখে। হট চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকো শরীরে যথাযথ রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। কোকোর মধ্যে ফ্ল্যাভানল নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়।

স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। হট চকলেট খেলে মন ভালো হয়ে যায়। অবসাদ কমে। চকলেটের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম থাকে, তাই সতেজ করতে সাহায্য করে। কোকোসমৃদ্ধ হট চকলেট শরীরে কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাবের জন্য হট চকলেটকে দায়ী করা যেতে পারে। দুধ থেকে তৈরি হট চকলেটে প্রাকৃতিকভাবে চিনি রয়েছে, যা দুধ থেকে পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াজাত কোকোয়াতে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি রয়েছে।

মিল্ক শেক
মিল্ক শেক

মিল্ক শেক

বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করা যায়। একেক রকম ফলে একেক রকম উপকারিতা। আম দিয়ে মিল্ক শেকে ক্যারোটিন ও ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে; যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে, রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চোখ ভালো রাখে। মিল্ক শেকে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স থাকার কারণে শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে রাখে সতেজ। ঘুম আসতে সাহায্য করে।

মিল্ক শেকে বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন ‘ই’ এবং সেলেনিয়াম থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। খনিজ লবণের উপস্থিতি থাকার কারণে দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর এনজাইম, যা শরীরের প্রোটিনের অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে—যার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। মিল্ক শেক নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষয়রোধ হয় ও স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।