মাংস তো খাবেনই, তবে...

খাবারের তালিকায় অন্য যা কিছু থাক না কেন, মাংস ছাড়া কোরবানির ঈদ যেন শুরুই হয় না। ওজনাধিক্য, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তাই বলে মাংস কি শুধুই খারাপ?

মাংস হচ্ছে প্রাণিজ আমিষ, আয়রন, জিংক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি-১২-এর অন্যতম উৎস। সাধারণভাবে একজন মানুষ দিনে ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম বা সপ্তাহে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবে। কিন্তু রেড মিট বা গরু ও খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি বেশি, তাই অতিভোজনে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই একটু সতর্কতার সঙ্গে ও মাত্রা বুঝে মাংস খাওয়া উচিত।

*মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন। মাংস পাতলা ও ছোট টুকরা করুন। এতে চর্বি কমে যাবে।
*মাংস রান্না করার সময় বেশি তেল দিয়ে ভুনা না করে অল্প তেলে রান্না করুন। আরও ভালো হয় তেল ছাড়া বেক, গ্রিল, স্টেক ইত্যাদি করে খেতে পারলে।
*উচ্চতাপে দীর্ঘ সময় ধরে মাংস রান্না করলে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়। তাই অল্প তাপে মাংস রান্না করুন।
*মাংস রান্নার আগে সেদ্ধ করে পানি ফেলে নিন। এতে মাংসের চর্বি অনেকটাই কমে আসে।
*রান্না করা মাংস বারবার গরম করবেন না। মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়।
*কোল্ড ড্রিংকস, ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টক দই রাখুন।
*উৎসব-আনন্দে নিয়মিত ওষুধ সেবন যেন বাদ না পড়ে। নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা বাদ দেবেন না।

 ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা।