কখনোই তাড়াহুড়ো নয়

কিছু কাজ আগে গুছিয়ে রাখলে ফুরফুরে মেজাজে থাকা যায়। মডেল: সারাহ, ছবি: অধুনা
কিছু কাজ আগে গুছিয়ে রাখলে ফুরফুরে মেজাজে থাকা যায়। মডেল: সারাহ, ছবি: অধুনা

আগামীকাল ক্লাসে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করতে হবে। মধ্যরাতে কাজ করতে করতে ল্যাপটপটি হঠাৎই বিগড়ে যায়, যা প্রেজেন্টেশন তৈরি ছিল, তার সবই হারিয়ে যায়। বাকি রাত খেটেখুটে একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করে হাজারো দুশ্চিন্তা নিয়ে হাজির হন ক্লাসে। কোনোমতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে হাঁফ ছেড়ে হয়তো এবার বাঁচলেন। আমাদের জীবনে এমনই হাজারো তাড়াহুড়ো আসে। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে কাজ করে ভজকট পাকিয়ে ফেলি। কাজে ভজকটের কারণে উটকো চাপ তৈরি হয়। একটু কৌশল খাটালেই এমন তাড়াহুড়ো এড়ানো যায় কিন্তু। আজ জেনে নিন এমনই কয়েকটি কৌশলের কথা।

সময় ভাগ করে নিন: কাজের শেষ দিন কখনোই কাজ জমিয়ে রাখবেন না। আগেই কাজ ছোট ছোট করে ভাগ করে গুছিয়ে রাখুন। সব কাজ আগের দিন জমিয়ে রাখবেন না। অফিস কিংবা বাড়ির কাজ এভাবেই ভাগ করে নিন।

শেষ দিনের জন্য অপেক্ষা নয়: খুব সাধারণ একটি অভ্যাস হচ্ছে কাজ শেষ দিনের জন্য জমিয়ে রাখা। শেষ দিনে চাপ নিয়েই কাজ শেষ করি। তাড়াহুড়োয় আসলে কাজ হয়তো হয়, কিন্তু কাজের মান তেমন ভালো হয় না। শেষ দিনের জন্য কখনোই কাজ শেষ করার অভ্যাস করবেন না।

কাগজে–কলমে হিসাব রাখুন: সব কাজের হিসাব মাথায় না জমিয়ে কাগজে–কলমে হিসাব রাখুন। বাড়িতে রেফ্রিজারেটর বা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় কাগজে নোট নিয়ে টাঙিয়ে রাখুন। কাজের কতটুকু অগ্রগতি হলো, তা নোট আকারে লিখে রাখুন।

প্রযুক্তি নিয়ে যত সাবধানতা: শেষ মুহূর্তে ল্যাপটপ নষ্ট কিংবা পেনড্রাইভ কাজ করে না, অনেক ক্ষেত্রেই এমন হতে পারে। সাবধানতা নিয়ে কাজের ‘ব্যাকআপ’ রাখুন। প্রয়োজনে অনলাইন ড্রাইভে সংরক্ষণ করুন।

দলগতভাবে কাজ করুন: চেষ্টা করুন দলগতভাবে কাজ করতে। দলের সব সদস্যের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি ও কাজ ভাগাভাগি করে রাখুন। দলের সঙ্গে কাজ করলে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা অনেকের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায়।

অবসর নিন: শেষ মুহূর্তে কাজ জমা দেওয়ার নামে আমরা অনেকটা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিই। ২৪ ঘণ্টা দিন-রাত কাজ করতে করতে হারিয়ে যাই। নিই না শরীরের যত্ন, খাওয়াদাওয়া ভুলে যাই। এমনটা করা চলবে না। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, অবসর নিতে হবে। নিয়ম করে খেতে হবে। শরীরের যত্ন নিতে হবে।
গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান

সূত্র: উইকি হাউ, মিডিয়াম