রোদেলা দিনে রোদচশমা

খরতাপের দিন চলে আসার আগেই বেছে নিন পছন্দের রোদচশমা। মডেল: সূচনা, জোভান ও স্পৃহা। পোশাক ও অনুষঙ্গ: ওপাল ফ্যাশন ওয়্যার। ছবি: কবির হোসেন
খরতাপের দিন চলে আসার আগেই বেছে নিন পছন্দের রোদচশমা। মডেল: সূচনা, জোভান ও স্পৃহা। পোশাক ও অনুষঙ্গ: ওপাল ফ্যাশন ওয়্যার। ছবি: কবির হোসেন

দিনের বেলায় টিপটপ হয়ে বাইরে বের হবেন আর সঙ্গে একটা ফ্যাশনেবল রোদচশমা থাকবে না—এমনটা অনেকে ভাবতেও পারেন না। এটি এমনই এক ফ্যাশন অনুষঙ্গ, যা চোখজোড়াকে রোদের কবল থেকে রক্ষা তো করেই, আর লুকেও আনে স্টাইলিশ আমেজ। বাজার ঘুরে পাওয়া গেল বাহারি রোদচশমার খোঁজ।
ইদানীং এভিয়েটর এবং ক্লাবমাস্টার ফ্রেমের রোদচশমা ছেলে-মেয়ে সবাইকে খুব পরতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া এখন গোলাকার ফ্রেমের রোদচশমা পরারও চল এসেছে। এগুলোকে অনেকে বলছেন হ্যারি পটার ফ্রেম। অনেক তরুণী বেছে নিচ্ছেন প্রিন্টের ও রংচঙে ফ্রেমের নানা রকম রোদচশমা। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাটস আই এবং বাটারফ্লাই ফ্রেমের রোদচশমাও চোখে দিচ্ছেন অনেকে। কথা হলো মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরের সঙ্গে। জানালেন, রোদচশমা তাঁর খুব পছন্দের অনুষঙ্গ। তিনি বলেন, ইদানীং একটু বড় ফ্রেমের ট্রেন্ড চলছে। তবে চলতি ধারা অনুসরণ করতে গিয়ে বেমানান কোনো ফ্রেম বেছে নিলে চলবে না। মুখের গড়ন ও গায়ের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়া চাই রোদচশমার আকৃতি ও রঙের। এখন যেসব ফাঙ্কি ধরনের রোদচশমা চলছে, তা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেই মানানসই—যোগ করেন তিনি।

ক্যাটস আই ও ক্লাবমাস্টার ফ্রেমের রোদচশমা চলছে বেশ
ক্যাটস আই ও ক্লাবমাস্টার ফ্রেমের রোদচশমা চলছে বেশ

অনলাইন দোকান ওপাল ফ্যাশনওয়্যারের প্রধান নির্বাহী রুবায়জা দীপা জানান, গোলগাল মুখে গোলাকৃতির ফ্রেম না পরে বরং ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যাটস আই কিংবা এভিয়েটর ফ্রেমের চশমা। আর মুখ ডিম্বাকৃতি বা পানপাতার আকৃতির হলে মানিয়ে যাবে গোল ফ্রেমের রোদচশমায়। তবে কোন ফ্রেমে মানাবে, সেই প্রশ্নে যেমন মুখের গড়নটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি চুলের স্টাইলের ওপরেও এটা অনেকটা নিভর্রশীল—মনে করেন তিনি।

রঙবেরঙের মার্কারি গ্লাসও জনপ্রিয়
রঙবেরঙের মার্কারি গ্লাসও জনপ্রিয়

রুবায়জা দীপা আরও জানান, রোদচশমার গ্লাসে এখন চড়া রংগুলো খুব ট্রেন্ডি। সবুজ, নীল, কমলার মতো গাঢ় রং এখন রোদচশমার গ্লাসে নজরে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে কয়েক শেডের ব্যবহারও।
মডেল ও অভিনেতা নিরবের পছন্দ দুই বা তিন শেডের কাচের রোদচশমা—এমনটাই জানালেন তিনি। রোদচশমা বাছাইয়ে চলতি ধারা অনুসরণ করেন তিনি। তবে মুখে না মানালে যতই ট্রেন্ডি হোক না কেন, তা এড়িয়ে যান। আনুষ্ঠানিক পোশাকে এক রকম এবং ক্যাজুয়াল লুকে ভিন্ন রকমের চশমা বাছাই করেন। হাফ রিমলেস বা ক্লাব মাস্টার ফ্রেম আনুষ্ঠানিক বা ঘরোয়া—দুই ধরনের লুকেই মানিয়ে যায়। তবে এভিয়েটর ফ্রেম ছেলেদের আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গেই বেশি মানানসই।
বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে ফুলেল, চেক, টাইগার, ডোরাকাটা ইত্যাদি নানা প্রিন্টের রোদচশমা। কোনো কোনো এক রঙা ফ্রেমের চশমার শুধু ডাঁটি দুটি থাকছে প্রিন্টের। গাঢ় রঙের মার্কারি সানগ্লাস যাঁরা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাঁরা হালকা রঙের গ্লাসের রোদচশমাও পাবেন। এভিয়েটর, ক্লাবমাস্টার, রাউন্ড ফ্রেম, ক্যাটস আই—সব ধরনের ফ্রেমের রোদচশমা পাবেন ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড এবং বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এ ছাড়া পাওয়া যাবে অনলাইনের দোকানগুলোতে। রুবায়জা দীপা জানান, রোদচশমা কেনার ক্ষেত্রে এর মান যাচাই করা খুব জরুরি। তা না হলে স্টাইল হয়তো ঠিকমতোই হবে, কিন্তু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখ বাঁচানো যাবে না।