যা খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে...

ডায়াবেটিসে ভোগার কারণে হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগ। ছবি: এএফপি
ডায়াবেটিসে ভোগার কারণে হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগ। ছবি: এএফপি

ডায়াবেটিস একবার হয়ে গেলে তা হয়ে যায় সারা জীবনের সঙ্গী। শিশু থেকে বৃদ্ধ, যে–কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ সারানোর ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ জন্য খাবারদাবারে রাশ টানা অন্যতম উপায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আর ডায়াবেটিসে ভোগার কারণে হতে পারে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগ। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, শতকরা ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে জীবনাচরণে পরিবর্তন এনেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করা যায়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) খাবারের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে মিষ্টি, লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবার কম করে খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। বেছে নিতে হবে চিনিমুক্ত খাবার। এনএইচএসের পরামর্শগুলো হলো:

১. খেতে হবে তাজা সবজি ও ফল। তাই বলে ফলের জুস খেতে যাবেন না যেন! তার চেয়ে বরং ফল চিবিয়ে খান। চিবিয়ে খেলে ফলে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সঙ্গে মেশে সহজে। এ ছাড়া চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মুখের পেশিও কাজ করার সুযোগ পায়। এমন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফলের যে রস শরীর পায়, সেটি সহজে পরিপাক হয়।

২. কম চর্বিযুক্ত দই খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে টকদই। শিশুদের জন্য দই খুবই উপকারী। এই দুগ্ধজাত বস্তুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। হাড় ও দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী।

৩. বেশি ভাজাপোড়া বা বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। লবণ বুঝে খেতে হবে। যত কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল।

৪. চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। জুস ও স্মুদিতে প্রচুর চিনি ও ক্যালরি থাকে। তাই কতটুকু খাচ্ছেন, তার হিসাব রাখতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত হলেই বিপদ।

৫. একটি বা দুটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতেই পারে। একটি বড় ডিমে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ। ডায়েটে ভিটামিন ডি যোগ করার জন্য ডিম বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

৬. খাবার খেতে হবে ক্যালরি মেপে। কতটুকু খাবারে কতটুকু ক্যালরি ঢুকছে শরীরে, তা মাথায় রাখতে হবে। বুঝেশুনে খেলেই আর বিপদের সম্ভাবনা নেই।