এবার বদলে দিন ঘরের রং

ঘরে নতুন রং করলে মন ভালো করে দেয়। মডেল: জিনিয়া। ছবি: সুমন ইউসুফ
ঘরে নতুন রং করলে মন ভালো করে দেয়। মডেল: জিনিয়া। ছবি: সুমন ইউসুফ

অনেক দিন থেকে ঘর রং করি করি করে করা হচ্ছে না। শীতের আগে কেউ কেউ ঘরে নতুন করে রং করেন মনে বাড়তি উষ্ণতা পেতে। এ সময় একটু গাঢ় রং করতে পারেন। এমনই বললেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দের স্থপতি তাসবীর শাতিল। বিশেষ করে শিশুদের ঘরে গাঢ় রং তো থাকতেই পারে। রঙের এমন কোনো নকশা তৈরি করতে পারেন, যাতে ছোটদের মানসিক বিকাশ হতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে শিশুদের ঘরে এমন ধরনের রং লাগানো উচিত, যাতে সিসা নেই।

শীতে বেশি পুরোনো দেয়াল থেকে তৈরি ধুলা–ময়লা থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। আবার বর্ষায় দেয়ালে ছত্রাক পড়ে। সে কারণে শীতের শুরুতে ঘরে রং করলে ভালো।
বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল আশরাফ জানান, শীতের সময় ঘরের রং পরিবর্তন করার কারণ হচ্ছে, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমে রং প্রয়োগের পর শুকানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ পায় এবং রঙের স্থায়িত্ব বেড়ে যায়।

ইদানীং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে অনেকে ‘গ্রিন পেইন্ট’ ব্যবহার করেন, যা মানুষের শরীর ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর নয়। বার্জার পেইন্টসের ‘ব্রেথ ইজি’ এমন একটি গ্রিন পেইন্ট, যা ব্যাকটেরিয়া নিরোধক পেইন্ট ও হাইজেনিক পেইন্টে মানুষের শরীর ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকারক উপাদান নেই।

দেয়ালের নতুন রং ঘরকে উজ্জ্বল করে, যা মানুষের মনকে সজীব ও প্রফুল্ল রাখতেও সাহায্য করে। হালকা রং করলে ঘর বড় দেখাবে। যেমন: সাদা, চাপা সাদা, আকাশি, হালকা গোলাপি। যাঁরা উজ্জ্বল–গাঢ় রং পছন্দ করেন, তাঁরা সেটি ব্যবহার করতে পারেন। একরঙা রংও যেমন চলে, আবার রঙের মধ্যে নানা রকম নকশার বৈচিত্র্যও দেখা যায়।

এটি মূলত সামর্থ্য ও রুচির ওপর নির্ভর করে। বছরে একবার রং করতে পারলে ভালো। নাহলে অন্তত দুই বছর পরপর ঘরের রং করাতে হবে। তবে ঘরের রং পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর ঘরে থাকতে হবে।