অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে করণীয়

>

ড. সামিয়া সেরাজ
ড. সামিয়া সেরাজ

অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা জরুরি তা জানিয়েছেন আবাসন প্রতিষ্ঠান শেলটেকের পরিচালক সামিয়া সেরাজ

অনুমতি: অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে ক্রেতাসাধারণকে দেখতে হবে ভবনটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কি না। ভবনের নকশা, নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া যায় না। তাই প্রথমেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। শেলটেকের প্রতিটি প্রকল্পের ব্রোশিউরে রাজউকের অনুমতিপত্রের কপি ছাপা থাকে। ক্রেতাসাধারণ মূল অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তা–ও দেখানো হয়।

ভবনের নকশা : বাংলাদেশে ভবন নির্মাণের যাবতীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০০৬ (বিএনবিসি)-এ। ভবন নির্মাণে নকশা ও গুণগত মান–সম্পর্কিত সব বিষয় এই কোড অনুসারে হয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় কী করণীয়, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা থাকতে হবে, সেসব এই কোডে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আইনগত সমস্যা: অনেক জমিতেই আইনগত জটিলতা থাকে। অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে তা ভালোভাবে দেখা উচিত।

স্থাপত্য নকশা: স্থাপত্য নকশা ও প্রতিষ্ঠানের স্থপতিদের দক্ষতা যাচাই করা প্রয়োজন। নকশায় ভবনের পুরো জায়গা সঠিক ব্যবহার করা হয়েছে কি না এবং ভবনের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপযোগিতা নিশ্চিত করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আলো–বাতাস চলাচলের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। পাশাপাশি নকশায় ডিসঅ্যাবিলিটি এক্সেস দেওয়া হয়েছে কি না, তা দেখা প্রয়োজন।

নির্মাতার অভিজ্ঞতা : রিয়েল এস্টেট সব সময়ই একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। তাই অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা ও সুনাম বিবেচনায় আনা জরুরি। প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ে অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করে কি না, এটাও দেখতে হবে। দালান তৈরির উপকরণের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও তাদের পণ্যের মানও বিবেচনায় আনা জরুরি।