উষ্ণ পানি পেতে

হিম ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাই বাড়তি প্রস্তুতি। গোসল বা পানের জন্য উষ্ণ পানি পেতে এ সময় দরকার গিজার ও ওয়াটার হিটার।

সহজে গরম পানি পেতে বৈদ্যুতিক গিজার ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: অধুনা
সহজে গরম পানি পেতে বৈদ্যুতিক গিজার ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: অধুনা

গিজার
গোসল থেকে শুরু করে শীতের সারা দিনের কাজকর্ম অনেকটাই সহজ করে দেয় গিজারের গরম পানি। গিজার শীতের দিনের প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। বাজারে ইনস্ট্যান্ট ও বৈদ্যুতিক গিজার পাওয়া যায়। ইনস্ট্যান্ট গিজারও বিদ্যুেত চলে।

ঝটপট গরম পানি করতে এবং স্বল্পপরিসরে ব্যবহারের জন্য ইনস্ট্যান্ট গিজার ব্যবহার করা যায়। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ইনস্ট্যান্ট গিজার সহজেই বহন করা যায়। এ ছাড়া ইনস্ট্যান্ট গিজার বাসা বদলের সময় বহনে বেশ সুবিধাজনক।

 বৈদ্যুতিক গিজার

সহজে গরম পানি পেতে চাই বৈদ্যুতিক গিজার। পরিবারের সদস্য সংখ্যার ওপর কত লিটারের গিজার কিনবেন সেটা নির্ধারণ করুন। ছোট পরিবারের জন্য ২৫ বা ৩৫ লিটারের গিজার হলে ভালো। গোসলের কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে গিজার চালু করে নিতে হয়।

রাজধানীর নর্থ সাউথ রোডের আরএফএলের বিক্রয় প্রতিনিধি সিটি স্যানিটারি স্বত্বাধিকারী সরোয়ার হোসেন জানান, শীতের সময় গিজারের বিক্রি বেড়ে যায়। বাজারে বিভিন্ন দাম ও মানের গিজার পাওয়া যায়। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গিজারে দুই বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সেবা পাওয়া যায়। গ্যারান্টি কিংবা ওয়ারেন্টি সেবা পাওয়ার জন্য কার্ডটি সংরক্ষণ করে রেখে দিন।

ব্র্যান্ডের ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়।
ব্র্যান্ডের ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়।

 ওয়াটার হিটার

শীতে হাতমুখ ধোয়া কিংবা গোসলের জন্য গরম পানি হলে মন্দ হয় না। বাজারে ছোট–বড় নানা রকম ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাস্ক ও কেতলি। ফ্ল্যাস্ক হিটারগুলোর এক থেকে দুই লিটার এবং কেটলি হিটারগুলোর ৪ থেকে ১০ লিটার পর্যন্ত পানি ধারণক্ষমতা রয়েছে। বাজারে মিয়াকো, ফিলিপস, নোভেনা, নোভা, ভিশন, প্যানাসনিকসহ আরও কিছু ব্র্যান্ডের ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়।

 ওয়ালটন গিজার ও ওয়াটার হিটার

ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর (পিআর, মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওয়ালটনের রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের দুই মডেলের গিজার এবং এক মডেলের ইনস্ট্যান্ট ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার। ৩৫ লিটার ধারণক্ষমতার গিজারের দাম ৯ হাজার ৯০০ টাকা। আর ৫০ লিটার ধারণক্ষমতার গিজারের দাম ১২ হাজার ৫০০ টাকা। ওয়ালটন গিজারের ইনার ট্যাংকে এনামেল কোটিং থাকায় পানি অনেকক্ষণ গরম থাকে। এতে রয়েছে ডুয়াল কালার ইন্ডিকেটর ল্যাম্প। যা গিজারে পাওয়ার দেওয়া মাত্র লাল লাইট জ্বলে ওঠে। পানি গরম হলে নীল বা সবুজ লাইট জ্বলে। ওয়ালটন গিজারে রয়েছে অটো টেম্পারেচার কন্ট্রোল। এতে দুই ধাপের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকায় পানির তাপমাত্র ৭৫ ডিগ্রি অতিক্রম করলে সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিজার বন্ধ হয়ে যাবে।

এ ছাড়া ওয়ালটনের রয়েছে এক মডেলের ইনস্ট্যান্ট ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার। এটা ব্যবহার সহজ। গ্রাহক তাঁর পছন্দ অনুযায়ী তামপাত্রা সেট করে নিতে পারবেন। এতে ১০০ শতাংশ কপার হিটিং এলিমেন্ট ব্যবহার করায় দ্রুত পানি গরম হয়। আর্থ লিকেজ সার্কিট ব্রেকার থাকায় ইলেকট্রিক সমস্যায় হিটার অটোমেটিক বন্ধ হয়। পানির সাপ্লাই না পাওয়া পর্যন্ত হিটার অন হয় না। তা ছাড়া কোনো কারণে পানির তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি অতিক্রম করলে হিটার স্বয়ংক্রিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। ওয়ালটনের এই ওয়াটার হিটারের দাম ৭ হাজার ৯০০ টাকা। সব ধরনের ওয়ালটন গিজার এবং ওয়াটার হিটারে রয়েছে এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।

 দরদাম

এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভিন্ন ভিন্ন আকারের ওপর নির্ভর করে গিজার ও ওয়াটার হিটারের দাম। ওয়াটার হিটারের দাম সাধারণত ১৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে। গিজারের দাম নির্ধারণ করা হয় লিটার অনুযায়ী। ১ থেকে ৯০ লিটার পর্যন্ত গিজার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক গিজারের দাম পড়বে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ইনস্ট্যান্ট গিজারের দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকা।

 কোথায় পাবেন

নিউমার্কেট, গুলিস্তান, স্টেডিয়াম মার্কেট, নর্থ সাউথ রোড, নবাবপুর সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, মিরপুর-১০, গুলশান, ধানমন্ডি, হাতিরপুল, ফার্মগেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক মার্কেটসহ আপনার কাছের হার্ডওয়্যার ও স্যানিটারি দোকানগুলোতে গিজার ও ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়।