শিশুর জাম্পস্যুট!

শীতে শিশুকে পর্যাপ্ত ওম দেবে জাম্পস্যুট। মডেল: ভুবন গগন, ছবি: নকশা
শীতে শিশুকে পর্যাপ্ত ওম দেবে জাম্পস্যুট। মডেল: ভুবন গগন, ছবি: নকশা

শহরগঞ্জে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের হাতে কাবু ছোটবড় সবাই। তবে এই সময়ে শিশুদেরই কষ্ট হয় বেশি। তাই বড়দের আগে ভাবতে হয় শিশুদের নিয়ে। শিশুর তেল, ময়েশ্চার ছাড়াও আরামদায়ক পোশাক দরকার হয়। ঘরে থাকলে কিংবা বাইরে নিয়ে গেলেও শিশুর পরনে থাকা চাই শীত তাড়ানোর উপযুক্ত পোশাক। সেটা হতে হবে আরামদায়ক এবং ওম ভরা। এসব দিক খেয়াল রেখেই শীতে শিশুদের পরাতে পারেন জাম্পস্যুট। বাজারে যেটা বেবি জাম্পস্যুট নামেই পরিচিত।

পা থেকে মাথা অবধি ঢেকে রাখা যায় কেবল পেট রবাবর টেনে দিতে হয় একটি চেইন। শিশুকে শীত থেকে রক্ষা করতে পায়ে মোজা, মাথায় টুপি, গায়ে সোয়েটারের মতো কয়েক প্রস্থ গরম কাপড় পরানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে এই জাম্পস্যুটটি বেশ সুবিধাজনক। বলছিলেন, এক বছর দুই মাস আগে মা হওয়া বুশরা রহমান। তিনি তাঁর সন্তানকে শীতে জাম্পস্যুট পরিয়ে রাখেন। তাঁর মতে, জাম্পস্যুট পরানোর আগে গায়ে নরম সুতির জামাকাপড় পরিয়ে নিলে আর কোনোভাবেই শীত লাগবে না।

ধানমন্ডি হকার্স, নূরজাহান মার্কেট ঘুরে দেখা গেল এই পোশাকটির বেশ কদর। অনেক বাবা–মা কোলে শিশু নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে জাম্পস্যুট দেখছেন, কিনছেন। তেমনি জাম্পস্যুট কিনতে আসা দম্পতি শীলা এবং রফিক বলেন, নবজাতক শিশু থেকে প্রায় চার–পাঁচ বছর বয়স অবধি শিশুদের জাম্পস্যুট পরিয়ে রাখা যায়। এটি নরম গেঞ্জি এবং ফানেল কাপড়ের হয়ে থাকে বিধায় শীতে শিশুর শরীরে ওম লাগে। শিশুদের মাথা, কান, গলা, হাত, পা সবটাই একটা পোশাকের ভেতর ঢেকে রাখা যায়। ফলে অন্যান্য অঙ্গের জন্য আলাদা করে আর কোনো পোশাক লাগে না এবং দেখতেও শিশুটিকে বেশ স্মার্ট লাগে। চলাফেরায়, কোলে নেওয়ার জন্য বেশ সুবিধাজনক বা দেখভালের জন্য আলাদা করে খুব বেশি সময়ও লাগে না। এটা পরানোর পর বেশ খানিকটা সময় নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

নূরজাহান সুপার মার্কেটের বেবি ফ্যাশন নামের দোকানের বিক্রয়কর্মী সোহরাব জানান, বেবি জাম্পস্যুট সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। একটি পা থেকে মাথা অবধি, অন্যটি পা ছাড়া প্যান্টের মতো হয়ে গলা অবধি। সোহরাব এই দুই রকমের কথা বললেও বাজারে আরও একটি ধরন দেখা গেল, সেটা পায়ে মোজার মতো অংশটি বাদ দিয়ে মাথা অবধি। বেবি জাম্পস্যুটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কোমর থেকে শুরু করে গলা অবধি চেইন টানা থাকে। শিশুর হাত–পা শরীর এর ভেতর ঢুকিয়ে চেইন টেনে দিলেই শীত তাড়ানোর ব্যবস্থা হয়ে গেল।

ধানমন্ডি হকার্স এবং নূরজাহান মার্কেটের দোকানিদের ভাষ্যমতে, শিশুদের আরামের কথা মাথায় রেখে বেবি জাম্পস্যুটের অধিকাংশই তৈরি হয় নরম গেঞ্জি কাপড়ে। দোকান ঘুরে দরদাম করে কিনলে ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই এসব জাম্পস্যুট কিনতে পাওয়া যাবে।