শিশুর দাঁত পরিষ্কার রাখা

ছোট থেকেই শিশুকে দঁাত মাজা শেখাতে হবে। মডেল: আয়াজ, ছবি: অধুনা
ছোট থেকেই শিশুকে দঁাত মাজা শেখাতে হবে। মডেল: আয়াজ, ছবি: অধুনা

এক বছর বয়স থেকে শুরু করে ছয় বছরের শিশুদের দাঁত মাজার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তখন থেকে দাঁত পরিষ্কার না রাখলে দাঁতের ক্ষতি হয়ে থাকে। শিশুদের প্রথম যখন দাঁত ওঠে তখন থেকেই দাঁতের যত্ন শুরু করতে হয়। প্রতিবার মায়ের বুকের দুধ পানের পর পরিষ্কার তুলা বা গজ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। তাই শিশুদের সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো উচিত।

 শিশুদের উপযোগী ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।

পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা প্রথম খাবার খাওয়ার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করাতে হবে। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। ছোটদের জন্য কম ঝাঁজালো টুথপেস্ট বেছে নিন।

দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।

তিন মাস পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।

দিনে কমপক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার পরে ব্রাশ করতে পারেন। তবে ভালো করে কুলি করলেই দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়।

 লেখক: দন্ত্যচিকিৎসক, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল।

 যা করা উচিত নয়

* সামনে-পিছে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।

* শিশুদের চকলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয়, জুস, চিপসের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে হবে।