ভালোবাসার দিনে

এ শুধু ভালোবাসার দিন। মডেল: রাকিবা ও নীল, শাড়ি: অন্যমেলা, পাঞ্জাবি: অঞ্জন’স, সাজ: পারসোনা, স্থান কৃতজ্ঞতা: ক্রিকেটার্স কিচেন, ছবি: সুমন ইউসুফ
এ শুধু ভালোবাসার দিন। মডেল: রাকিবা ও নীল, শাড়ি: অন্যমেলা, পাঞ্জাবি: অঞ্জন’স, সাজ: পারসোনা, স্থান কৃতজ্ঞতা: ক্রিকেটার্স কিচেন, ছবি: সুমন ইউসুফ

ছেলেটির পরনে পাঞ্জাবি আর মেয়েটির নিশ্চিত লাল শাড়ি। দেখা হোক কোনো প্রকৃতির ছায়ায় কিংবা আধুনিক রেস্তোরাঁয়। চোখের ভাষায় প্রকাশ পাবে শুধুই ভালোবাসা। প্রতিদিনই ভালোবাসার দিন। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, সেটা প্রকাশের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় অন্য রকম আমেজ ও আনন্দ।

ভালোবেসে উপহার
কী থাকতে পারে সেই বাক্সে? চলুন ভাবা যাক। হতে পারে বড় প্যাকেটটিতে ছেলেটির জন্য অপেক্ষায় আছে একটি নতুন পাঞ্জাবি আর মেয়েটির জন্য ছেলেটির নিজের পছন্দে কেনা কোনো শাড়ি। হয়তো মেয়েটির প্রিয় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা আর ছেলেটির হুমায়ূন আহমেদ। চলছেই তো বইমেলা। হয়তো সেই ভালো লাগার বইগুলোই অদলবদল হয়ে গেছে ভালোবাসার দিনে। আবার হয়তো মেয়েটি খুব ভালোবাসে চমক। নিত্যনতুন রোমাঞ্চ টানে তাকে খুব। তার জন্য থাকতে পারে ছেলেটির নিজের হাতে ভালোবাসা দিয়ে বানানো কার্ড। যার পরতে পরতে নতুন রোমাঞ্চ। সঙ্গে নিজেদের প্রিয় কিছু ছবি আর মনের ছোট ছোট কথা।

জিম আর ডেলার সেই গল্পের মতো ছেলেটি হয়তো বেছে বেছে মেয়েটির জন্য কিনেছে চুলের কোনো অনুষঙ্গ আর মেয়েটি কিনেছে একখানা সুন্দর ঘড়ি। কাঠের ফ্রেমে খোদাই করা দুজনের প্রিয় কোনো ছবিও থাকতে পারে উপহারের তালিকায়।

হয়তো মেয়েটি একটু রাবীন্দ্রিক আর ছেলেটি বোহিমিয়ান। রবীন্দ্রপ্রেমী মেয়েটিকে হয়তো ছেলেটি দিতে চায় রবীন্দ্রসংগীতের কোনো সংগ্রহ আর মেয়েটি ছেলেটিকে দিয়েছে জীবনকে সহজ করার মতো কোনো যন্ত্র।

উপহারে থাকুক ভালোবাসার চমক। পাঞ্জাবি: আর্ট অব ব্লু, কামিজ: অঞ্জন’স
উপহারে থাকুক ভালোবাসার চমক। পাঞ্জাবি: আর্ট অব ব্লু, কামিজ: অঞ্জন’স

হতে পারে একদমই ঘরোয়া কিছুও। মেয়েটি বাসা থেকে নিজ হাতে বানিয়ে এনেছে ছেলেটির পছন্দের খাবার আর ছেলেটি এনেছে মেয়েটির প্রিয় চকলেট। বাক্সে থাকতে পারে ছোট্ট কোনো সাজ–অনুষঙ্গও। হতে পারে দুজনেই দুজনের জন্য কিনেছে তেমন প্রিয় অথবা প্রয়োজনীয় কিছু। বাক্সে থাকতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছুও। অনেক দিন ধরেই যেটা দুজনে কিনবে কিনবে করেও কেনা হচ্ছিল না।

তবে মোড়ানো ওই বাক্সে উপহার যেটাই থাক, সেটাকে একটু যত্ন করে কেনা, পছন্দ–অপছন্দ মাথায় রেখে কেনা আর ভালোবেসে মুড়িয়ে দিলে অন্যজনের কাছে আকর্ষণ বেড়ে যায় বহুগুণ।

সঙ্গীকে আরেকটু বেশি চমকে দিতে চাইলে না হয় ভিন্ন কিছু ভাবুন। পরিকল্পনা করতে পারেন কোনো রোমান্টিক ক্যান্ডেল লাইট ডিনার ডেটেরও। আসলে প্রতিটি দিনই তো ভালোবাসার দিন। কিন্তু নাগরিক ব্যস্ততার জীবনে রোজ রোজ উদ্‌যাপনের সুযোগ কোথায়? সেখানে একটি বিশেষ দিনকে ভালোবাসার দিন হিসেবে কাটানো মন্দ নয়। তবে সব ছাড়িয়ে উপহারই কী পারে মন ভরাতে? তার থেকে বরং একটু বাড়তি ভালোবাসা দিয়েই সম্ভব ভালোবাসার সম্পর্কে নতুন করে রং ছড়ানো। তাই উপহার দিন, তবে সঙ্গে সম্পর্কেও জুড়ে দিন বাড়তি ভালোবাসার ছোঁয়া।