ফিল্টারের যত্ন প্রয়োজন

পানির ফিল্টারেরও নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। মডেল: অরিন। ছবি: অধুনা
পানির ফিল্টারেরও নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। মডেল: অরিন। ছবি: অধুনা

সহজভাবে পানি বিশুদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার পাওয়া যায়। জীবাণুর পাশাপাশি অনেক ফিল্টার পানির দুর্গন্ধ দূর করতে সক্ষম। পানি ব্যবহার না হলেও ফিল্টারের পানি প্রতিদিন বদলানো উচিত। তাই প্রতিদিন আপনার যতটুকু পানির প্রয়োজন হয়, ঠিক ততটুকু পানিই বিশুদ্ধ করা উচিত। বেশি দিন হলে পানি ফেলে দিতে হবে, নইলে দুর্গন্ধ হবে।

পানি বেশি দিন পাত্রে থাকলে শেওলা জমে যেতে পারে। তাই পানিতে কোনোভাবেই শেওলা জমতে দেওয়া যাবে না। সাত দিন অন্তর ফিল্টারের সিরামিক পরিষ্কার করা উচিত। সাধারণত নেট ব্যাগ দিয়ে এটি পরিষ্কার করা যায়। ফিল্টারের ভেতরটা কখনোই সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া যাবে না, একটা বাটিতে থালাবাটি ধোয়ার তরল সাবান গুলিয়ে নেট দিয়ে হালকা করে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিয়ে তারপর পানি দিয়ে ধুতে পারেন। তবে বাইরের অংশ সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া যাবে।

ফিল্টারে কখনোই গরম পানি ঢালা যাবে না। যে ফিল্টারই কিনুন না কেন, কেনার আগে নিয়মাবলি ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ইলেকট্রনিক ফিল্টার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। ফিল্টার পদ্ধতির ভিন্নতা থাকতে পারে। একেক মানুষ একেকটি ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সবারই একটি কাজ করতে হবে। তা হলো ফিল্টারের সময়মতো কার্টিজ বদলানো। পানিতে কেমন ময়লা আসে, তার ওপর ভিত্তি করে কার্টিজ বদলাতে হয়। তা ছাড়া এমনিতেই অন্তত ছয় মাস পরপর কার্ট্রিজ বদলে ফেলুন। ফিল্টারে মাইক্রো ফাইবার ম্যাশ বা ছাঁকনিটা পারলে প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করুন এবং কার্ট্রিজের সঙ্গে এই ছাঁকনিটাও বদলান অন্তত বছরে দুবার। এই তো, এতটুকুই যত্ন। নিরাপদ পানি পান করুন আর সুস্থ থাকুন, সঙ্গে পরিবারের সবার সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

ওয়ালটন গ্রুপের অতিরিক্ত পরিচালক (পিআর, মিডিয়া ও ব্র্যান্ডিং) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পানি পরিশোধন যন্ত্র কেনার সময় বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হয় যেন যন্ত্রটি পানিতে মিশে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত কেমিক্যাল, ভারী ধাতু, মরিচা, সিসাসহ অন্যান্য দূষিত পদার্থ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করতে পারে।

ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ার পানি পরিশোধনের পাশাপাশি পানির দুর্গন্ধও দূর করে। ক্লোরিন মুক্ত করে এবং পানির পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ারের মিনারেল স্যান্ড বল পানিতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেলের জোগান দেয়। জিওলাইট ও সিলিকা জেল পানিতে থাকা কেমিক্যাল শোষণ করে এবং পানির পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। সিরামিক ফিল্টার সব ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য মাইক্রোবায়োলজিক্যাল উপাদান দূর করে। আয়রন, সিলভার ইত্যাদির মতো ভারী ধাতুও দূর করতে অনন্য ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ার।

ওয়াটার পিউরিফায়ার ছাড়াও ওয়ালটন বাজারজাত করছে তিন মডেলের ওয়াটার ডিসপেনসার, যার দুটি ইলেকট্রিক কুলিং আর একটি কমপ্রেসর কুলিং। উন্নত মানের এই ডিসপেনসার খুব কম বিদ্যুৎ খরচে দ্রুততম সময়ে গরম ও ঠান্ডা পানি দিয়ে থাকে।

বর্তমানে ৬টি মডেলের ওয়াটার পিউরিফায়ার বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে একটি মডেল রিভার্স অসমোসিস (আরও) টাইপ। যেটি পাঁচ ধাপে পানি পরিশোধন করে থাকে। এটির দাম ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ১৭ থেকে ২৮ লিটার ধারণক্ষমতার ৫ মডেলের ওয়ালটন পিউরিফায়ারের দাম ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। সব মডেলেই ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। মিনারেল পট ছাড়াও প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে থাকছে সিরামিক ফিল্টার, মাল্টিলেয়ার কার্ট্রিজ ফিল্টার, মিনারেল স্টোনবক্স ও ম্যাগনেটিক ট্যাপ। পরিশোধিত বিশুদ্ধ পানির নিরাপদ মাধ্যম ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ার। বিশেষ করে গরমের সময়টায় পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে নির্ভর করা যায় ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর।