ফুলের রেণুর অ্যালার্জি

ফুলের রেণু থেকে হতে পারে অ্যালার্জি, তাই সচেতন থাকুন। ছবি: অধুনা
ফুলের রেণু থেকে হতে পারে অ্যালার্জি, তাই সচেতন থাকুন। ছবি: অধুনা

এসেছে বসন্তকাল। তবে বসন্ত সবার জন্য আনন্দময় না হয়ে হরে পারে অ্যালার্জিময়। আসলে বসন্তে সবচেয়ে বেশি হয় পুষ্পরেণু অ্যালার্জি। এ সময় নানা রঙের ফুল ফোটে। বাতাসে উড়ে বেড়ায় এসব ফুলের রেণু। বাতাসবাহিত হয়ে ওই রেণু নাক, চোখ ও ফুসফুসে প্রবেশ করে। তাতে অনেকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারেন না যে ফুলের রেণু থেকে এমন হতে পারে। পরে খুঁজে দেখা যায়, ফুলের রেণুর কারণে অ্যালার্জি সমস্যা, যেমন চোখের প্রদাহ, ত্বকে চুলকানি, অ্যালার্জিক এলভিওলাইটিস, হাঁপানি বা শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। আসলে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এসে শরীরে প্রতিক্রিয়া হয়। এই প্রতিক্রিয়ায় একধরনের পদার্থ বের হয়, যার কারণে এমনটি হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, পুষ্পরেণু নাক ও শ্বাসযন্ত্রে ঢুকে চুলকানি, কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক থেকে পানি গড়ায়, নাক ও গলা খুশখুশ করে, অতিরিক্ত হাঁচি হয় এবং চোখের নিচে কালি পড়ে থাকে। এ সময় হাঁপানিও বেড়ে যায় অনেকের।

কী করণীয়?

নাকে-মুখে মাস্ক কিংবা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। শিশুরা যাতে ফুল বা ঘাস নিয়ে এই সময় খেলা না-করে সে দিকে মা–বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের দরজা-জানলা দিয়ে রেণুর অবাধ প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

যেসব শিশুর অ্যালার্জি বা হাঁপানি আছে তাদের ফুলবাগান, পার্কে বেশি না যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে শিশুকে মাস্ক পরিয়ে দিন।

ঋতু পরিবর্তের এই সময়ের তাপমাত্রার আচমকা তারতম্যের জন্য সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাও বাড়ে। এই সর্দির-কাশির সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যা যোগ হয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে। আর সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।