নজরকাড়া পোশাকে জমকালো আয়োজন

ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক
ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক

শুরুতেই চমক দেখালেন দেশি ফ্যাশন ডিজাইনাররা। এই চমক দেশি কাপড় ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানের পোশাকের নকশা করে। চলতি বছর যেসব নকশা চলবে বিশ্ববাজারে, তারই একঝলক দেখা গেল বাংলাদেশেও। আরও ভেঙে বললে ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের মঞ্চে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রথমবারের মতো পর্দা উঠল ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ২০১৯–এর। তিন দিনের এই আয়োজনের প্রথম দিন ছিল গতকাল শনিবার।

দেশি ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন করেছে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) এবং ইউনিলিভারের হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড ট্রেসেমে। শুধু দেশি না, বিদেশি অনেক ডিজাইনারও যোগ দিচ্ছেন এই ফ্যাশন উইকে। সব মিলিয়ে তিন দিনে মোট ৩১ জন ডিজাইনারের নকশা করা পোশাক দেখা যাবে এখানে।

প্রথম দিনের আয়োজনে দেশি ৭ ডিজাইনারের সঙ্গে ভারত, মালদ্বীপ ও নেপালের তিনজন ডিজাইনারও তাঁদের পোশাক তুলে ধরেন ফ্যাশন মঞ্চে।

সন্ধ্যা সাতটায় ফ্যাশন উইকের উদ্বোধনী পর্বে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের পাশাপাশি সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। এফডিসিবির সভাপতি ডিজাইনার মাহিন খান সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের পোশাকের খ্যাতি অনেক পুরোনো। সেসবে নতুন ধারার নকশা দেখা যাবে এই শোতে। আর সেসবের সঙ্গে বিদেশিদের নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতেই এটাকে আন্তর্জাতিক চেহারা দেওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি সারা বিশ্বে টেকসই ফ্যাশনের যে আওয়াজ তোলা হচ্ছে, সে ধারাটা দেখা গেল ফ্যাশন উইকে অংশ নেওয়া ডিজাইনারদের পোশাক–নকশাতেও। শোতে তুলে ধরা পোশাকের সবই ছিল পরিবেশবান্ধব। জোর দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী কাপড়ের দিকে। ফ্যাশন শো শুরু হয় ভারতের ডিজাইনার পারমিতা ব্যানার্জির পোশাক দিয়ে। আর শেষ হয় বাংলাদেশের লিপি খন্দকার, মালদ্বীপের আয়শাত শামলা ও নেপালের আনু শ্রেষ্ঠার পোশাক প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের প্রথম দিন ফ্যাশন মঞ্চে মালদ্বীপের ডিজাইনারের তৈরি পোশাক পরে হাঁটছেন মডেলরা। গতকাল রাজধানীর আইসিসিবিতে।  সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের প্রথম দিন ফ্যাশন মঞ্চে মালদ্বীপের ডিজাইনারের তৈরি পোশাক পরে হাঁটছেন মডেলরা। গতকাল রাজধানীর আইসিসিবিতে। সাইফুল ইসলাম

মধ্যখানে দেখানো হয় বাংলাদেশি ডিজাইনার হুমায়রা খান, রিফাত রেজা, সারাহ করিম, সাদিয়া মিশু, রিমা নাজ, মুশাররাত রহমানের নকশা করা পোশাক। কারও নকশায় ছিল ফুলেল আবহ, কেউ বা অনুপ্রেরণা নিয়েছেন ময়ূরের কাছ থেকে। ডিজাইনার রিমা নাজের পোশাকের বিষয় ছিল, মিলিটারি ফ্যাশন। সারা বিশ্বে এই বিষয় বেশ জোরালো এবার। অধিকাংশ ডিজাইনারের পোশাকের সংগ্রহ গরমের উপযুক্ত। এ ছাড়া বিয়ের মতো জমকালো অনুষ্ঠানের পোশাকও দেখা যায় ফ্যাশন শোতে।

ফ্যাশন কিউয়ের শুরুতে ট্রেসেমের সৌজন্যে একঝাঁক মডেল মঞ্চ মাতিয়ে যান চুলের বাহারি সাজ দেখিয়ে। তাঁদের চুলে ছিল লাল রঙের আবহ। এই পর্ব এবং ফ্যাশন শোর সব কিউতে অংশ নেওয়া মডেলদের সাজিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।