রঙিন চুল রঙিনই থাকুক

আগের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন রং করা যায় চুলে। মডেল: অন্তরা, ছবি: নকশা
আগের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন রং করা যায় চুলে। মডেল: অন্তরা, ছবি: নকশা

চেহারায় রাতারাতি পরিবর্তন আনতে পারে চুলের পরিবর্তিত রূপ। নতুন কাটের পাশাপাশি চুলে রং করলেও ব্যক্তিত্বে যোগ হয় আত্মবিশ্বাস। তবে এ সবই ইতিবাচক প্রভাব আনবে যদি চুল রং করার আগে–পরের নিয়ম মানা হয় ঠিকভাবে। নয়তো আসবে বিপরীত ফলাফল। ফ্যাশনে এসেছে অনেক ধারা। চুল রং করার নকশা জানা দরকার। তেমনি চুল রং করার আগে ও পরে চুলের যত্ন নেওয়াটাও বাধ্যতামূলক।

রং মিলিয়ে
চুলে রং করার ফ্যাশনে এসেছে নানা রকম পরিবর্তন। চুল রঙিন করার ধরন ও রং বাছাই—দুটি এখন অনেক রুচিশীল। বয়স, ব্যক্তিত্ব, রুচি সবকিছু মিলিয়েই কিন্তু এখন চুলের রং বেছে নিচ্ছেন সবাই। এমনটাই জানালেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।
রং করার ধারায় যে রংগুলো আছে তা হলো অ্যাশি সিলভার, স্ট্রবেরি হানি, রিচ কপার, মাশরুম ব্রাউন, ক্রিমি ব্লন্ড, জেট ব্ল্যাক, ব্লেন্ডেড রুটস। চুল রঙিন করার আগে ত্বকের রঙের বিষয়টি নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানালেন, কোন ত্বকের রঙের সঙ্গে কোন চুলের রং ভালো লাগবে, তা অনেকটা নির্ভর করে চুলে রং প্রয়োগের ওপর। সাধারণত যাঁরা একটু শ্যাম বর্ণের তাঁরা পুরো চুল রং করতে পারবেন না। চুলের গোড়া থেকে চার–পাঁচ ইঞ্চি চুল বাদ দিয়ে শেড করে রং করলে ভালো লাগবে। অর্থাৎ গাঢ় রং থেকে হালকা শেডে পুরো চুল রং করা যায়। আবার খুব উজ্জ্বল রংও তাঁদের ত্বকের সঙ্গে মানাবে না। এ ছাড়া হাইলাইট, স্টিক, ক্যাটস্টিক নকশায় রং করলে বেশ ভালো লাগবে।
তবে যাঁদের ত্বকের রং একটু উজ্জ্বল তাঁরা পুরো চুলে চাইলে রং করতে পারেন। তবে চুলের ওপরের অংশে নয়, নিচের দিকে এটি ভালো লাগবে। ব্লন্ড, বারগেন্ডি, গাঢ় বাদামি, মেরুন রং সহজেই মানাবে তাঁদের।

মডেল: অন্তরা, ছবি: নকশা
মডেল: অন্তরা, ছবি: নকশা

যত্নে
স্বাভাবিক, শুষ্ক ও তৈলাক্ত রঙিন চুলে প্রথম দুই মাস প্রতিদিন হালকা ও রং প্রতিরোধক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। রং করা চুল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের কারণে শুষ্ক হয়ে যায়, তাই স্মুদিং করাতে হবে। এ ছাড়া স্বাভাবিক চুলে ডিমের সাদা অংশ ও মধু ব্যবহার উপকারী হবে। শুষ্ক চুলে গরম তেল মালিশে লেবুর রস ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত চুলে সপ্তাহে এক দিন গরম তেল মালিশ করতে হবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে খালি হাতে মাথার ত্বক মালিশ করুন। আবার শ্যাম্পুর সঙ্গে হালকা লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলে ঘনত্ব চলে আসবে, তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে এবং চলে যায়। তবে তখন খুব সুন্দর করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল বাড়লেই রং করা যায়। তবে ব্লিচজাতীয় রং ছয় মাসের আগে না করাই ভালো।