রমজানে দাঁত ও মুখের যত্ন

পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়। দাঁত ব্রাশের সময়টাও পরিবর্তন হয়। সাহ্‌রির পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তেমনি ইফতারের পরও একবার দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। ইফতার বা সাহ্‌রির সময় যখনই মিষ্টি খাবার যেমন জিলাপি, রসগোল্লা বা রসমালাই খাবেন, তখন অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া উচিত। শর্করাজাতীয় উপাদান দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে পারে।

অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের জন্য মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে পারেন। ইফতারের ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে অনেকেই পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খান। তাঁদের খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং টাটকা ফলমূল, সালাদ জাতীয় খাবারের অভ্যাস করতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন খেলেও সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করলে ভালো হয়।

সাহ্‌রির পর কুলিকুচি করে নিয়ে ডেন্টাল ফ্লসের সাহায্যে প্রতিটি দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ থেকে সূক্ষ্ম খাদ্যকণা বের করে আনুন।

ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয় মাউথওয়াশ ব্যবহার করে (২ চামচ ৩০ সেকেন্ড সময় মুখের ভেতর রেখে ফেলে দেওয়া) কুলিকুচি করতে পারেন। টাং স্ক্রাবার ব্যবহার করুন।

ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে ৩-৪ মিনিট ধরে সব পাটির দাঁতকে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

এই সময় দাঁত ব্রাশের নিয়ম ঠিকমতো না মানার ফলে খাবার জমে মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

ভিটামিন-স্বল্পতার কারণেও (বিশেষত ভিটামিন সি) মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। ইফতারিতে প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবুর শরবত, জাম্বুরা, কমলালেবু, কামরাঙা, আমড়া, মাল্টা, আমলকী, আনারস, সেই সঙ্গে সালাদ যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেটুস পাতা ইত্যাদির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া ভালো।

আগামীকাল পড়ুন: গর্ভাবস্থায় সর্দি-কাশি

প্রশ্ন-ত্তর

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৪ বছর। আমি সবার সামনে কথা বলতে পারি না তোতলামোর কারণে। অপরিচিত লোক/নতুন পরিবেশে এটা বেশি হয়। করণীয় কী?

উত্তর: উদ্বেগ, মানসিক চাপ ইত্যাদি তোতলামোর সমস্যা বাড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো কমে গেলেই তোতলামো কমে যায়। স্পিচ থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া যায়। অতিরিক্ত উদ্বেগপ্রবণ হলে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নেওয়া উচিত। ডা. আবু সাঈদ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসে কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।

ই–মেইলে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান: [email protected]