ঈদে তাসকিনের নতুন রূপ

ঈদে তাসকিন থাকবেন আরামদায়ক পোশাকে। শার্ট: সারা লাইফস্টাইল, ছবি: কবির হোসেন
ঈদে তাসকিন থাকবেন আরামদায়ক পোশাকে। শার্ট: সারা লাইফস্টাইল, ছবি: কবির হোসেন

নীল চোখের দিকেই প্রথমে নজর যায়। তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে এখন তাঁকে দেখা যায় নায়ক চরিত্রে। অভিনয়ে এর মধ্যেই বেশ প্রশংসিত। ফ্যাশনের ব্যাপারেও বেশ সচেতন, সহজে বোধগম্য। প্রথম বাক্যেই হয়তো পাঠক ধরে ফেলেছেন কার কথা হচ্ছে। অভিনেতা তাসকিন রহমান। চলচ্চিত্রে যাঁর বয়স মাত্র দুই বছর। কিন্তু ফ্যাশনে আরও অভিজ্ঞ। তাঁর পোশাক-আশাক আর স্টাইল সে কথার জানান দেয়। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ভক্তদের আগ্রহ, কেমন লাগবে এবার ঈদে তাসকিনকে। কোনো রাখঢাক না করে তাসকিন নিজেই বলে দিলেন ঈদের সাজ-পোশাকের পরিকল্পনা।

পোশাকে আরাম

ব্যক্তিগত কোনো পোশাক নকশাকার, মেকআপ বা চুলের স্টাইলিস্টের সাহায্য নেন না তাসকিন। নিজের ফ্যাশন ও সাজের দিকটা নিজেই খেয়াল রাখেন। এই ঈদেও ব্যতিক্রম হবে না।

সকাল থেকে সারা দিন পাঞ্জাবি পরে থাকবেন। ঈদে এই পোশাকটা তাসকিনের কাছে সেরা। তবে পাঞ্জাবিটা হতে হবে পাক্কা সুতির। গরমের সঙ্গে যুদ্ধ করা চাই। এর চেয়ে ভালো ঢাল আর কী হতে পারে! সকালে নামাজের পর কাজিনদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলবে তাসকিনের আড্ডা।

এরপর দুপুর বা বিকেলে ইচ্ছা হলে আরেকটা পাঞ্জাবি পরে নেবেন। কিন্তু থাকবেন পাঞ্জাবিতেই। সুতি পাঞ্জাবি অবশ্যই। সেই সাজে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা চলবে এবার।

রাতের বেলার দাওয়াতে পাঞ্জাবি বদলে নেবেন তিনি। পরবেন ক্যাজুয়াল কিছু। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে? তাসকিন বলেন, ‘আমার পোলো শার্ট খুব পছন্দ। আরামদায়ক। সঙ্গে জিনস অথবা ট্রাউজার পরতে পারি। পায়ে থাকবে স্নিকারস।’

পাঞ্চাবি: লুবনান
পাঞ্চাবি: লুবনান

কেশবেশ

চুলের স্টাইল বদলাবেন না এই অভিনেতা। এর মধ্যে সামান্য বড় হয়ে গেলে ছেঁটে নেবেন শুধু। তাসকিন সাধারণত ক্লিন সেভে থাকেন। কিন্তু ঈদের জন্য নিচ্ছেন অন্য প্রস্তুতি। হ্যাঁ, দাড়ি রাখছেন। ঈদের আগে সুন্দর করে ছেঁটে নেবেন। ভক্তরা দেখতে পাবেন নতুন এক তাসকিন রহমানকে।

বাজার বেড়ানো

কেনাকাটা হয়েছে কি হয়নি জানতে চাইলে তাসকিন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এখনো মূল পোশাকটা কেনা হয়নি।’ মূল পোশাক মানে হচ্ছে, পাঞ্জাবি। কিনবেন গুলশান-বনানীর বাজার ঘুরে। একদম দেশি ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন তিনি। তবে ক্যাজুয়াল পোশাক আর জুতা ইতিমধ্যে বন্ধুকে দিয়ে আনিয়ে নিয়েছেন দেশের বাইরে থেকে। দেশের বাইরে দেশি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এ কথা তিনি ভালো করেই জানেন। তাই দেশের বাইরে যখন ছিলেন, তখন বাংলাদেশি ব্র্যান্ড পেলে আগে সেটা কিনতেন। বলেন, ‘টিশার্টে বাংলাদেশ লেখাটা দেখলেই মন ভরে যেত।’ অনেক বছর দেশের বাইরে ছিলেন তাসকিন। তাই বিদেশি পোশাক পরে অভ্যস্ত। প্রায় দুই বছর ধরে দেশে নিয়মিত আছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় পোশাক সম্পর্কে ধারণা হচ্ছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমি এখন একটু একটু করে জানছি কোথায় ভালো পোশাকটা পাওয়া যায়। তাহলে আর দেশের বাইরে থেকে কেনাকাটা করতে হবে না।’