উৎসবে রঙিন অন্দর

নতুন দেয়াল প্রকাশ করবে উৎসবের আনন্দ। মডেল: িজনিয়া, ছবি: নকশা
নতুন দেয়াল প্রকাশ করবে উৎসবের আনন্দ। মডেল: িজনিয়া, ছবি: নকশা

সারা দিনের কাজের শেষে নিজের বাড়িটাই সবচেয়ে শান্তির জায়গা। বাড়ির চার দেয়াল বা ছাদ শুধু আপনাকে বাইরের জগৎ থেকে সুরক্ষাই দেয় না, অন্দর সাজেও বড় ভূমিকা রাখে। রং দিয়েই দেয়ালের সাজে নিয়ে আসতে পারেন ভিন্নতা। ঈদের আগে বাড়ির কোনো একটা দেয়াল রাঙিয়ে ফেলতে পারেন ভিন্নভাবে। এতে করে ঘরের ভেতরে বেশ বড় একটা পরিবর্তন চলে আসবে। ঈদের দিনটি আপনার সঙ্গে দেয়ালটিও প্রকাশ করবে উৎসবের আনন্দ।

ঘরের কিংবা বাইরের দেয়াল রং করার উপযুক্ত সময় শীতের শেষ থেকে বর্ষাকাল শুরুর আগ পর্যন্ত। শুষ্ক আবহাওয়া রঙের কাজের জন্য ভালো। কারণ আমাদের দেশে এ সময়ে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। তবে ঘরের ভেতরে বছরজুড়ে রং করা যায়। বাড়ির ভেতরের অংশে তিন বছর ও বাইরের অংশে পাঁচ বছর পরপর রং করা উচিত।

ফ্রাক্টালস্কেপ লিমিটেডের পার্টনার আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুমাইয়া মামুন বলেছেন দেয়াল সাজানোর নানা কথা। আলোকিত ও তুলনামূলক ছোট ঘরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় হালকা রং। কিছুটা অন্ধকার, বড় ঘরের জন্য বা যেসব ঘরে কৃত্রিম আলো ব্যবহারের প্রয়োজন বেশি হয়, তেমন ঘরে গাঢ় রং বেশি ব্যবহার করা যায়। তবে যেকোনো হালকা রং যেমন সাদা, হালকা আকাশি, হালকা গোলাপি, চাঁপা সাদা রং, হালকা ধূসর রঙের ব্যবহার এখনকার চলতি ধারা।

বসার ঘরের যেকোনো একটি দেয়াল হলুদ বা কমলা রঙের যেকোনো শেডে রাঙিয়ে তোলা যায়। এর ওপর নকশার ব্যবহার দৃষ্টিনন্দন হবে। এই ঘরেই সবচেয়ে বেশি পারিবারিক অনুষ্ঠান ও ছবি তোলা হয়। এসব রঙের আবহে ছবি তুললে ছবিও হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সেই দেয়ালে বিপরীত দিক থেকে আলো এসে দেয়ালকে যেন আলোকিত করে। দেয়ালে বাড়তি নকশা করা হলে আসবাবের বাহুল্য কম থাকাটাই ভালো ।

খাবার ঘরে কমলার যেকোনো শেড রাখলে মানিয়ে যাবে। এই ঘরে ছাপ নকশার ব্যবহার না করাটাই ভালো।

শোয়ার ঘরে একেবারেই হালকা রঙের ব্যবহার কর উচিত। ওপর থেকে আলোর প্রতিফলন ফেললে বিশ্রামের জন্য উপযোগী ও ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করবে।

স্নানঘরের ছাদ সাদা রাখলে এবং বড় আয়নার ব্যবহার থাকলে সেটি দৃষ্টিনন্দন হবে।

শিশুদের ঘর যতটা রঙিন করে তোলা যায় ততই ভালো। ছাপ নকশার ব্যবহারে ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে পাখি, ফুল, রূপকথার চরিত্র, সমুদ্রের নিচের পরিবেশ, খেলা, কার্টুন, গাড়ি বা ওদের পছন্দের যেকোনো বিষয়। চাইলে নানা রঙের মাধ্যমে হাতে এঁকে ফুটিয়ে তোলা যায় পছন্দের নকশা। শিশু এবং বৃদ্ধ আছেন এমন ঘরে পরিবেশবান্ধব রঙে দেয়াল রাঙানো উচিত।

এশিয়ান পেইন্টসের বিপণন বিভাগের প্রধান অনিকেত সামাদ বলেন, ‘১ হাজার ৮০০ শেড থেকে পছন্দমতো রং নিয়ে স্বপ্নের মতো সাজানো যাবে নিজের ভুবন। রয়্যাল আস্প্যায়রা পানিরোধী উপাদান থাকায় দেয়ালকে রাখে শতভাগ সুরক্ষিত। রয়্যাল লাক্সারি সিল্ক, রয়্যাল গ্লিটার, রয়্যাল প্লেসহ যেকোনো রং বেছে নিলেও মিলবে সুরুচির পরিচয়।’

জানিয়ে দেওয়া হলো বাড়িকে রঙিন করার খুঁটিনাটি বিষয়। এখন বাড়িকে তুলির টানে স্বপ্নিল রূপ দেওয়ার কাজটি শুরু করে দিতে পারেন।