পুষ্টি জোগাবে চালের খাবার

চালের গুঁড়ার তৈরি পিঠা
চালের গুঁড়ার তৈরি পিঠা

সারা দিন রোজা রাখার পর রোজাদারদের শর্করার অভাব হয়। শর্করার ঘাটতি পূরণ করার জন্য রোজাদারদের ইফতারের পর শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। চালে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই ইফতারের সময় বা ইফতারের পর চাল দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন।

ঢাকার বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডের প্রধান পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান জানান, রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাবার নির্বাচন করা। তা সাহ্‌রি ও ইফতার—দুই সময়ের খাবারেই। সঠিক খাবার তালিকা অনুসরণ করে রোজা রাখা উচিত। তাহলে রোজার সময় শারীরিক কোনো সমস্যা হবে না।

সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় খাবার হওয়া চাই পুষ্টিগুণসম্পন্ন। চালের তৈরি খাবারে পুষ্টি রয়েছে অনেক বেশি। চাল দিয়ে তৈরি খাবার ইফতারির পদ হিসেবে রাখতে পারেন। চালের তৈরির খাবার ততটা নরম নয়। তাই খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। এতে খাবার সহজেই হজম হবে।

ইফতার ও সাহ্‌রির সময় পানি বেশি পরিমাণে পান করা উচিত। সারা দিন অভুক্ত থাকার ফলে শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় এবং দ্রুত শক্তি পাওয়া যায় এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত। ইফতারের সময় বাইরের খাবার না খাওয়াই উচিত। বাসায় তৈরি খাবার দিয়ে ইফতার করা উচিত। বাসায় তৈরি বিভিন্ন পুষ্টিকর ও মজাদার খাবার খেলে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, শরীরও ভালো থাকবে।

চালের গুঁড়ার তৈরি মিষ্টান্ন পুষ্টি জোগায়
চালের গুঁড়ার তৈরি মিষ্টান্ন পুষ্টি জোগায়

ইফতারের সময় মুখরোচক খাবার না খেয়ে ফলমূল খেতে পারেন। শুধু ইফতার বা সাহ্‌রি নয়, অন্য সময়েও চালের তৈরি খাবার খেতে পারেন। কারণ চালের উপকারিতা অনেক। প্রতিদিনকার আহারে জনপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ভাতের প্রয়োজন হয়। পেট ও মন দুটিই ভরে ভাত খাওয়ার মাধ্যমে। চাল দিয়ে রান্না করা ভাত আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি অতি প্রচলিত পদ। ভাত ছাড়া বাঙালির চলেই না। আর ভাত বলতে আমরা সেদ্ধ চালের ভাতকেই বুঝি। ভাত খাওয়ার জন্য আমরা মূলত সেদ্ধ চালকেই বেছে নিই। কারণ ভাত ঝরঝর, চিকন এবং দেখতে ধবধবে সাদা। হজমের ক্ষেত্রে চাল ভালো এবং সুস্বাদু। অল্পতেই আপনার পেট ভরে যায়।

ইফতারের সময় বেশি ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাদ্য না খাওয়াই ভালো।

খাদ্যতালিকায় ভাত একটা অত্যাবশ্যকীয় পদ। নানা রকমের চালের ভাত আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো এবং পুষ্টিকরও। চাল বা চালের তৈরি উপকরণগুলোর সবচেয়ে বড় গুণ হলো, এটা শরীরে শক্তি দেয়। তাই ইফতার বা ইফতারের পর চালের তৈরি উপকরণ খেতে পারেন। এ ছাড়া চালের গুঁড়ার তৈরি নানা রকম পিঠা এবং চাল থেকে বানানো মুড়ি, চিড়া ইত্যাদি যেমন স্বাদেও ভিন্নতা আনে, তেমনি শরীরে পুষ্টিও জোগায়।