ঈদের সকালের নাশতা

>অন্য দিন সকালে বা বিকেলে যে নাশতাই হোক, ঈদের দিন পাল্টে যায় সব। বিশেষ দিনের নাশতাও হওয়া চাই একটু আলাদা। আবার প্রচলিত অনেক পদের খাবার আছে, যা ঈদের দিন স্বাদে যোগ করবে ভিন্নতা। তেমন কিছু নাশতার রেসিপি দিয়েছেন ফারাহ্‌ সুবর্ণা
বিফ শর্মা। ছবি: খালেদ সরকার
বিফ শর্মা। ছবি: খালেদ সরকার

বিফ শর্মা

উপকরণ: পুরের জন্য হাড় ছাড়া গরুর মাংস আধা কেজি (স্ট্রিপ করে কাটা), কাঁচা পেঁপে বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া স্বাদমতো, গরম মসলার গুঁড়া ১-৩ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, শসা/টমেটো/পেঁয়াজ লম্বা পাতলা করে কাটা প্রয়োজনমতো, মেয়োনেজ প্রয়োজনমতো, টমেটো সস প্রয়োজনমতো।

রুটির জন্য ময়দা ২ কাপ, ইস্ট দেড় চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, লবণ ১-৩ চা-চামচ, গরম পানি আধা কাপ, তেল ১ চা-চামচ।

প্রণালি: গরম পানিতে ইস্ট আর চিনি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। ময়দায় লবণ মিশিয়ে তারপর ইস্ট মেশানো পানি দিয়ে মেখে হালকা তেল মেখে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে কোনো গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে ঘণ্টা দু-একের জন্য। অন্যদিকে একটি পাত্রে গরুর মাংসের সঙ্গে পেঁপে বাটা, আদা-রসুন বাটা, মরিচগুঁড়া দিয়ে মেখে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। নির্দিষ্ট সময় পরে কড়াইতে তেল গরম করে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে কষিয়ে তারপর তাতে স্বাদমতো লবণ আর অল্প পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। মাংস ভাজাভাজা করে তাতে লেবুর রস আর গরম মসলার গুঁড়া মিশিয়ে নামিয়ে নিন। এরপর মাখা ময়দা আবারও মেখে গোল বল আকারে লেচি কেটে নিয়ে রুটি আকারে বেলে নিন। এরপর তাওয়া গরম করে রুটির মতো সেঁকে নিতে হবে। একটি বাটিতে প্রয়োজনমতো মেয়োনেজ ও সস মিশিয়ে নিয়ে তাতে মাংস, টমেটো, শসা ও পেঁয়াজ মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর প্লেট বা ট্রের ওপরে রুটি বিছিয়ে নিয়ে তার এক পাশে লম্বালম্বি করে মাংস, সালাদ ও মেয়োনেজের মিশ্রণ দিয়ে গোল করে রোল করে নিয়ে পার্চমেন্ট পেপার অথবা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে পরিবেশন করুন।

লাজানিয়া। ছবি: খালেদ সরকার
লাজানিয়া। ছবি: খালেদ সরকার

লাজানিয়া

উপকরণ: লাজানিয়া শিট (শিটের ও ক্যাসারোলের আকারের ওপর নির্ভর করবে পরিমাণ) গ্রেট করা মোজারেলা চিজ পছন্দমতো। মিট সসের জন্য—চিকেন বা বিফ কিমা ৭০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো পিউরি আড়াই কাপ, পাপরিকা পাউডার ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, শুকনো অরিগানো আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ। হোয়াইট সসের জন্য—ময়দা ৪ চা-চামচ, মাখন ৪ টেবিল চামচ, তরল দুধ ৪ কাপ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, পারমেজান চিজ আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো।


প্রণালি: পাত্রে বেশি করে পানি ফুটিয়ে তাতে লবণ আর ১ চা-চামচ তেল দিয়ে লাজানিয়া শিট সেদ্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা ভেজে রসুনকুচি, প্যাপরিকা পাউডার ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাংসের কিমা রান্না করতে হবে। কিমা সেদ্ধ হয়ে গেলে টমেটো পিউরি ও শুকনো অরিগেনো দিয়ে মাখো মাখো করে নামিয়ে ফেলতে হবে। এবার আরেকটা প্যানে মাখন গলিয়ে তাতে ময়দা দিয়ে একটা ভেজে নিয়ে অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মসৃণ ঘন সস তৈরি করে নিতে হবে। এরপর এই সসের সঙ্গে সাদা গোলমরিচের গুঁড়া, পারমেজান চিজ ও অল্প লবণ মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

এবার একটা ক্যাসারোলে প্রথমে হালকা মাখন মাখিয়ে তার ওপরে সেদ্ধ লাজানিয়া একটার পাশে একটা (অল্প ওভারল্যাপ করে) সাজিয়ে তার ওপরে প্রথমে হোয়াইট সসের লেয়ার, তার ওপরে রান্না কিমার লেয়ার, তার ওপরে গ্রেট করা মোজারেলা চিজের লেয়ার, একই পদ্ধতিতে আবারও লেয়ার সাজিয়ে একদম শেষ লেয়ারের ওপরে গ্রেটেড চিজ আর অল্প অরিগেনো ছড়িয়ে দিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে হালকা তেল মাখিয়ে সেটা দিয়ে হাল্কা করে ক্যাসারোলটা ঢেকে (যাতে চিজ আটকে না যায়) প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০-৪০ মিনিট বেক করে ওপরে লালচে রং এলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

লেখাটি বর্ণিল ঈদ–এর সৌজন্যে প্রকাশ করা হলো