রাজধানীর আমের মেলায়

সারা দেেশর আম ঢাকার বাজারে। টি–শার্ট অলংকরণ: মাসুক হেলাল
সারা দেেশর আম ঢাকার বাজারে। টি–শার্ট অলংকরণ: মাসুক হেলাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী বা মেহেরপুরের আমবাগানে বেড়ানোর সুযোগ পেলে তো কথাই নেই। নানা রকম আমের সান্নিধ্য পাবেন সরাসরি। কিন্তু যাঁদের সে সুযোগ নেই, তাঁরা আপাতত চলুন ঘুরে আসি রাজধানীর বুকে বসা নানা রকম আমের মেলায়।

এই সময়ে ঢাকা শহরের স্থানে স্থানে বসেছে আমের মেলা। একেকটি আমের মেলা সেজেছে থোকা থোকা আমের ছবি–সংবলিত ডিজিটাল পোস্টারে। রাতে আবার ঝলমল করে ওঠে মরিচবাতির টিপটিপ আলোতে। ভোর থেকে শুরু করে খোলা থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। প্রধান সড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠায় চলতি পথের নজর এড়ায় না।

এসব মেলায় মিলছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা প্রজাতির আম। জাত অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে মেলায় এসে হাজির হচ্ছে ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, নাগফজলি, হাঁড়িভাঙা, রানিপছন্দ, নবাবপছন্দ, লক্ষ্মণভোগ (লকনা), গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, মিস্রিভোগ, মল্লিকা, কাঁচামিঠা, সূর্যপুরি, কহিতুর, আলতাপেটি, চোষা, গুটি আম, সুন্দরী আম, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, সুরমা ফজলি ও ফজলি আম। জাতভেদে দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। বাজারে নতুন আসা ব্যানানা ম্যাঙ্গোর দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে রাজশাহীর আমবাগানের আমের ফলন আসতে শুরু করেছে মাত্র। প্রথম দিকে হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, নাগফজলি, হাঁড়িভাঙা আমের উপস্থিতিই দেখা যাচ্ছে অধিক সংখ্যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য জাতের আমও এসে সঙ্গ দেবে এদের সঙ্গে।

আমের পাশাপাশি মৌসুমি লিচুও মিলছে কোথাও কোথাও। তবে লিচুর মৌসুম খুব সংক্ষিপ্ত হওয়ায় লিচুর উপস্থিতি কমছে দিন দিন। সেই সঙ্গে দামও বাড়ছে একটু একটু। জাত ও আকারভেদে প্রতি শ লিচুর দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

আমের মেলার দেখা পাবেন ধানমন্ডির ক্যাপিটাল মার্কেটের পাশে, ধানমন্ডি ৮, ধানমন্ডি ১৫, জিগাতলা, ফার্মগেট এয়ারপোর্ট রোডের মনিপুরিপাড়া ১ নম্বর গেট–সংলগ্ন, মিরপুর ৬০ ফুট রোডে, মহাখালী ডিওএইচএস, সায়েদাবাদ ও কলাবাগান মাঠ–সংলগ্ন আমের বাজারে। এর বাইরেও আমের বিপুল সমাহার পাবেন রাজধানীর সুপার শপগুলোয়।