বেকিংয়ের উপকরণ

বেকিংয়ের জন্য আছে নানা ছাঁচের মোল্ড। ছবি: নকশা
বেকিংয়ের জন্য আছে নানা ছাঁচের মোল্ড। ছবি: নকশা

বেকিংয়ের অভিন্ন নিয়ম, খাবার তৈরির সময় পরিমাণ অনুযায়ী দিতে হবে উপকরণ। কেক বানাতে গিয়ে ময়দা বেশি পড়ে গেলে স্বাদেও চলে আসবে ভিন্নতা। রান্নার এই বিভাগটির জন্যই আলাদাভাবে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় নানা অনুষঙ্গ। অনুষঙ্গগুলো বানানোও হয় নানা রং ও আকারে। প্রয়োজনীয় কাপ ও চামচ, বিটার, চালুনি, নানা আকারের মোল্ড বা ছাঁচ, বেকিং শিট, ব্রাশ, স্প্যাচুলা, কেক সাজানো ও আকর্ষণীয়ভাবে কাটার উপকরণ, নানা ধরনের নজেল ইত্যাদি বেকিংয়ের দরকারি উপাদান। কেক, ব্রাউনি, কুকিজ, পেটিস, পাউরুটি, পিৎজা তৈরির জন্য যেমন প্রয়োজন ইলেকট্রিক ওভেনের। মাইক্রোওয়েভ ওভেনেও তৈরি করা যাবে যদি তাতে কনভেনশন সিস্টেম থাকে।

বেকিংয়ের সময় উপকরণ পরিমাপের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি প্রয়োজনীয় কাপ ও চামচের সেট (মেজারিং সেট) পাওয়া যায় সাদা ও রঙিন। বিটার পাওয়া যায় ইলেকট্রিক ও হাতচালিত দুই ধরনের। হাতচালিত বিটারের মধ্যে আবার রয়েছে কয়েক রকম নকশা। ব্রাশ ও স্প্যাচুলা পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিক ও সিলিকন দুই ধরনের। হাতলেও রয়েছে রকমফের। চালুনি, নজেল, কেক ডিজাইন করা, কাটা ও সাজানোর উপাদানগুলো প্লাস্টিক ও স্টিলের তৈরি। মোল্ড বা ছাঁচ, পিৎজা ট্রে, বেকিং ট্রের নকশা নানা রকম। সাদামাটা কেক বানালে ওভেনের সঙ্গে দেওয়া সাধারণ ট্রেতে কিংবা গোল, চারকোনা, ডিম্বাকৃতি, তিনকোনা মোল্ড কেনা যেতে পারে। কিছুটা ভিন্ন ধরনের নকশা পেতে চাইলে পাতা, খাঁজকাটা, গিটার, ফুল, প্রজাপতি, মিকিমাউসসহ নানা আকৃতির পাওয়া যায়। এগুলো স্টিল ও সিলিকনের তৈরি হলেও স্টিলের তৈরি মোল্ডের চাহিদা বেশি। কাপ কেকের ক্ষেত্রেও তা–ই। এ ছাড়া কিনতে হবে বেকিং শিট, কাপ কেকের খাঁজকাটা কাগজ।

বেকিংয়ের জন্য আছে নানা ছাঁচের মোল্ড। ছবি: নকশা
বেকিংয়ের জন্য আছে নানা ছাঁচের মোল্ড। ছবি: নকশা

বিভিন্ন আকারের ইলেকট্রিক বিটারের দাম পড়বে মানভেদে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে, বিভিন্ন ধরনের হাতচালিত বিটারের দাম ১০০ থেকে ৭৫০ টাকা, উপকরণ মাপার বিভিন্ন পরিমাণের সেট পাবেন ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়, ব্রাশ, স্প্যাচুলা, ছুরি, চালুনি, কেক ডিজাইন কাটার পাবেন ৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। মিক্সিং বোলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, মোল্ড বা ছাঁচের দাম ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, নজেলের সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। 

ঢাকার নিউমার্কেট, মৌচাক মার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, গুলশান ১ নম্বর ডিসিসি মার্কেটসহ নানা সুপারশপে পাবেন এসব যন্ত্রপাতি ও অনুষঙ্গ। এ ছাড়া অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ তো রইলই।