ঢাকায় আসবাবের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড

নানা ধরনের আসবাব পাওয়া যাবে অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোরে
নানা ধরনের আসবাব পাওয়া যাবে অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোরে

বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নানা ব্র্যান্ডের পণ্য। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশের বাজারে এসেছে আসবাবের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোর। 

বাংলাদেশে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করেছে আসবাব বিক্রিতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোর। আসবাবের নকশায় নিজস্বতা আর নতুনত্ব নিয়ে অ্যাশলে ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসবাব বিক্রি শুরু করে। খুব দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দেশেও। 

ঢাকার ১০৮ গুলশান অ্যাভিনিউ এলাকায় অ্যাশলের বাংলাদেশি শাখা চালু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। যেখান থেকে কেনা যাবে ঘরবাড়ি সাজানোর সব ধরনের আসবাব। ঐতিহ্যবাহী থেকে এ কালের নকশা—সবই মিলবে অ্যাশলে ফার্নিচারে। ১২৩টি দেশে অ্যাশলের ২৫ হাজার কর্মী কাজ করছেন। 

আসবাব প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পারটেক্স হোমস্টোর লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে এই ব্র্যান্ড। পারটেক্স স্টার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মাদ শাহেদ বলেন, বিদেশে ভ্রমণ ও ইন্টারনেটের কারণে বিদেশি আসবাব সম্পর্কে মানুষের একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই মানুষের পছন্দেও বদল ঘটছে। অ্যাশলে বিশ্বের অনেক দেশে পরিচিত একটি ফার্নিচার ব্র্যান্ড। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মোট পাঁচ ধরনের আসবাব দিয়ে সাজানো হয়েছে গুলশানের অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোর বাংলাদেশের দোকানটি।

>

দাম নয়, মানের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয় অ্যাশলে

কাজী মোহাম্মাদ শাহেদ 

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পারটেক্স স্টার গ্রুপ (কমপ্লেক্স–১)

আমাদের দেশের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখতে পাচ্ছে ঘরে বসে। নিয়মিত বিদেশে ভ্রমণ করছেন অনেকে। তাই মানুষের পছন্দেও পরিবর্তন হচ্ছে। বদলে যাওয়া পছন্দের চাহিদা মেটাতে আমাদের এমন কোথাও যেতে হচ্ছে, যেখানে বিশ্বমানের নকশার আসবাব তৈরি হয়। একই সঙ্গে তাদের খ্যাতিও আছে। অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোর এমনি একটি প্রতিষ্ঠান, যেটা বিশ্বের সেরা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান। সে জন্যই আমরা তাদের পছন্দ করেছি এবং বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি, যাতে বাংলাদেশের যেসব মানুষ বিশ্বমানের আসবাবের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, তাঁদের চাহিদা আমরা মেটাতে পারি। 

ক্রেতাদের পছন্দের কথা ভেবে আমাদের তো বিভিন্ন ধরনের আসবাব রাখতে হয়। আমি যদি পারটেক্স ফার্নিচারের কথা বলি, তাহলে বলতে হয়, সেখানে কিন্তু বিভিন্ন দাম ও ধরনের আসবাব রয়েছে। সেগুলো মধ্যবিত্তের চাহিদার কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয়েছে। অ্যাশলের ফার্নিচার আসলে টাকা দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। দামের চেয়ে অ্যাশলেতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মানের দিকে। টাকা থাকলেও অনেকে দেশে ভালো মানের আসবাব পান না। তাঁদের কথা চিন্তা করেই অ্যাশলে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। আমি বলব অ্যাশলের কিছু পণ্যের দাম হয়তো বেশি, তবে সব পণ্যের দাম অনেক বেশি, সেটা বলা যায় না। 

একটি ঘরের জন্য কেউ শুধু একটি আসবাব কেনেন না। ফার্নিচার কেনার পাশাপাশি ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণও কেনেন। যদি কোনো আসবাব একটি খালি ঘরে রাখেন, তাহলে কিন্তু অন্দরের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে না। আসবাবের সঙ্গে আরও অন্যান্য জিনিস আপনার ঘরের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলবে। আমরা সে উপকরণগুলোও অ্যাশলেতে রেখেছি। এই বিষয়ে অ্যাশলের একটা অভিজ্ঞতা আছে। সারা বিশ্বে তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে। অ্যাশলে এই স্টোর সাজাতে আমাদের সাহায্য করে। অ্যাশলে ফার্নিচার হোমস্টোরে এলে একজন ক্রেতা বুঝতে পারবেন, ফার্নিচারের সঙ্গে ঘর সাজানোর জন্য অ্যাকসেসরিজও দরকার। আমরা ফার্নিচারের সঙ্গে অন্য অনুষঙ্গও রেখেছি, যাতে ক্রেতা তাঁর দরকারি অন্যান্য উপকরণ সহজেই পেতে পারেন। 

অনুলিখিত