পূজার সাজে চলতি ধারা

টাই-ডাই করা সিল্কের স্কার্ট, একরঙা টপে আরাম ও উৎসবের আবহ দুটিই আছে। ভারী গয়না, নূপুর, কোঁকড়ানো খোলা চুলের সাজ দিনের বেলায় দিব্যি মানিয়ে যাবে।। মডেল: মাইশা, স্কার্ট: বিশ্বরঙ, গয়না: গ্লুড টুগেদার, কৃতজ্ঞতা: পারসোনা, ছবি: সুমন ইউসুফ
টাই-ডাই করা সিল্কের স্কার্ট, একরঙা টপে আরাম ও উৎসবের আবহ দুটিই আছে। ভারী গয়না, নূপুর, কোঁকড়ানো খোলা চুলের সাজ দিনের বেলায় দিব্যি মানিয়ে যাবে।। মডেল: মাইশা, স্কার্ট: বিশ্বরঙ, গয়না: গ্লুড টুগেদার, কৃতজ্ঞতা: পারসোনা, ছবি: সুমন ইউসুফ
>

ঢাক-ঢোল-বাদ্যি-আলোকসজ্জা। শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। পূজার সময়টাতে সাজানো–গোছানো মণ্ডপগুলোয় গেলেই চোখ চলে যায় দর্শনার্থীদের পোশাক আর সাজের দিকেও। ষষ্ঠী থেকে দশমী—এই পাঁচ দিনের সাজে এবার থাকবে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেল। লিখেছেন রয়া মুনতাসীর

এ বছর পূজার সাজে থাকবে ঐতিহ্য আর আধুনিক—দুটো সাজের ধারাই। অর্থাৎ চোখভরা কাজল যেমন থাকবে, কাজল ছাড়াও সাজবে চোখ। টিপ ও লিপস্টিকেই সাজ পাবে পূর্ণতা। জানালেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। কখনো খোলা, কখনো আধা খোলা; এর বাইরে বেণি, খোঁপা সবই থাকছে এবার চুলের সাজে। চুলের সাজে অবশ্য নানা রকম অনুষঙ্গও জনপ্রিয় এখন।


হালকা ও ভারী—দুই রকমের গয়না
গয়নায় হালকা ও ভারী, দুটি ধরনই থাকছে। ঐতিহ্যবাহী, এথনিক ও ফাংকি—তিন ঘরানার গয়নায় দেওয়া হয়েছে রুপালি, সোনালি আর সাবেকি ধাতব রঙের প্রলেপ। ঐতিহ্যবাহী নকশায় পাথরের প্রাধান্য বেশি। এথনিক ধাঁচের গয়নায় নকশাটাই মূল। ফাংকি নকশার গয়নায় বিডসের ব্যবহার চোখে পড়ে। পিতল, তামা এবং অন্যান্য ধাতু দিয়ে গয়নাগুলো বানানো হয় বলে এসবের ওজনও খুব বেশি নয়।


পোশাকে উৎসবের আমেজ
কামিজ, শাড়ি, স্কার্ট—নানা ধরনের পোশাকই এখন দেখা যায় পূজার সময়। তবে এ উৎসবের ছাপ থাকে নকশায়। বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার হয়েছে মোটিফ হিসেবে। ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা জানালেন, এখন মিলিয়ে পোশাক পরার ধারাটা বেশ দেখা যাচ্ছে। এক কামিজই পরা যায় স্কার্টের সঙ্গে, লেগিংস বা সালোয়ারের সঙ্গে। থিমভিত্তিক নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে মন্ত্র, ত্রিশূল, মূর্তি। সুতি, মসলিন, ডুপিয়ান সিল্ক কাপড়ের ওপর ব্লক প্রিন্ট, ফয়েল, এমব্রয়ডারির কাজ দেখা যাচ্ছে বেশ। পোশাকের নকশা যদি হয় সাধারণ, তবে গয়না হতে পারে নানা নকশার।


সাঁঝের সাজে
শরতের আকাশের কথাই মনে করিয়ে দেয় নীলরঙা এই কামিজ। স্নিগ্ধতা চোখ টেনে নেয়। জর্জেটের ওপর সুতার ভারী কাজ এনে দিয়েছে উৎসবের আমেজ। বিকেল কিংবা সাঁঝবেলায় মন্দ লাগবে না। গলায় থাকুক রুপালি চোকার। নীল স্মোকি চোখের সাজ। লিপস্টিকের রং থাক হালকা। চুল বেঁধে রাখুন। নাহলে ব্লোড্রাই করে ছেড়েও রাখা যায়।

মডেল: শ্রাবণ্য, পোশাক: বিশ্বরঙ

ফুলের ঝুরি
লম্বা কাটের এই কামিজের মূল আকর্ষণ ফুলেল নকশা। ফুলঝুরির ভরাট নকশা রাতেই মানাবে। হাফ সিল্ক কাপড়ের ওপর নানা রঙের সুতা দিয়ে কাজ করা হয়েছে। চুলের সাজ নজর কাড়ে। গলার মালাটাকে মাথার এক পাশ থেকে আরেক পাশে গয়না আটকানো হয়েছে। এই সাজ দিয়েই ভিড়ে আপনি অনন্যা।

রাতে উজ্জ্বল শাড়িতে
মসলিনের শাড়িতে তিনটি উজ্জ্বল রঙের শেড। তার ওপরে ফয়েল প্রিন্টের প্রাধান্য। রাতে যারা একটু উজ্জ্বল রঙের শাড়ি পরতে চান, আদর্শ এটি। গয়না: শৈলী


দশমীর লাল–সাদায়
দশমীর দিন লাল-সাদা রং পরাটাই যেন রেওয়াজ। এখনো সিঁদুর খেলায়, প্রতিমা বিসর্জনে লাল-সাদা শাড়ির প্রাধান্য দেখা যায়। ব্লাউজের কাটে থাকতে পারে ভিন্নতা। চোখে হালকা সাজ। কাজলের ছোঁয়া না থাকলেও ক্ষতি নেই। গলায় ভারী পাথর বসানো গয়না। কান জোড়া থাকুক খালি। হাতে বিভিন্ন রঙের পাথরের ভারী বালা। শাড়ি: দোয়েল সিল্ক

দিনে শাড়ি
তাঁতে বোনা টাঙ্গাইলের জামদানি শাড়ি। পুরো শাড়িটিতে ম্যাট কপার জরিসুতার কাজ। দিনের বেলার জন্য আদর্শ। হালকা কোঁকড়া ক‌রে চুল খোলা রাখা হয়েছে। গলায় সোনালি চোকার। সঙ্গে আছে ঝোলানো মাদুলি। শাড়ি: বিশ্বরঙ