ম্যারাথন-মানব

নিক বাটার
নিক বাটার

নিক বাটার প্রথম ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন ১১ বছর বয়সে। তখন তিনি সবে স্কুলছাত্র। কে জানত, একদিন সেই বাটারই সারা দুনিয়া ছুটে বেড়াবেন ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার প্রয়াসে। 

ইংল্যান্ডের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় ডরসেট শহরের বাসিন্দা বাটার। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৬ দেশে পা রেখেছেন, অংশ নিয়েছেন ম্যারাথনে। ১০ নভেম্বর গ্রিসের অথেনটিক এথেন্স  ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন। রেকর্ডটি গড়তে তাঁর ৬৭৫ দিন লেগেছে। অর্থাৎ ২২ মাসে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ ম্যারাথনগুলোতে দৌড়েছেন। এ জন্য প্রতি সপ্তাহে তিনটি নতুন দেশে ম্যারাথনে অংশ নিতে হয়েছে তাঁকে। বিশ্বের প্রতিটি দেশে ম্যারাথন করার রেকর্ড ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৮টি বিশ্ব রেকর্ড।  

বাটারের এই বিশ্বযাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি। তখন তিনি কাজ করতেন একটি ব্যাংকে। হুট করেই ব্যাংকের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে শুরু করেন বিশ্বভ্রমণ। এই উদ্যোগে তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ক্যানসার আক্রান্ত বন্ধু কেভিন ওয়েবার। বাটারের ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার আরও একটি বড় কারণ, তহবিল সংগ্রহ। প্রোস্টেট ক্যানসারের সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তহবিল গঠন করতে তিনি ২ লাখ ৫০ লাখ পাউন্ডের (প্রায় ৩ কোটি টাকা) সংগ্রহ করতে চান। এ ছাড়া যাত্রাপথে তরুণদের নিজের স্বপ্নের পথে চলার জন্য অনুপ্রেরণা দিতেও নিজের গল্প বলেছেন স্কুলে, সমাবেশে। 

সব দেশই যদি ঘুরে থাকবেন, তবে নিক বাটার বাংলাদেশে এলেন কবে? এই তথ্য তালাশ করতেই ঢুঁ মারতে হলো তাঁর ওয়েবসাইটে। সেখান থেকেই জানা গেল, বাংলাদেশ ছিল তাঁর ১৫৯তম দেশ। গত ১৮ জুলাই ঢাকা ঘুরে গেছেন। নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ হয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কায়। আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেল তাঁর ফেসবুক পাতায়। ঢাকায় যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের একটি অভ্যর্থনাপত্রের ছবি তিনি ফেসবুকে দিয়েছিলেন। যদিও ঢাকার কোথায় ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁর ম্যারাথন–বিষয়ক ওয়েবসাইটে (রানিং দ্য ওয়ার্ল্ড ১৯৬ ডটকম) সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য শিগগিরই সেসব তথ্য হালনাগাদ করবেন বলে ওয়েবসাইটে বলে রেখেছেন। আরও বলে রেখেছেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও। তাঁর সেই পরিকল্পনাও ম্যারাথন ঘিরেই। 

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন ও ডেইলি মেইল