ত্বকের আর্দ্রতায় গ্লিসারিন

পানি, গোলাপজল বা জলপাই তেলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। ছবি: অধুনা
পানি, গোলাপজল বা জলপাই তেলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। ছবি: অধুনা

শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা আর শুষ্কতা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। শুষ্ক আবহাওয়ার এই মৌসুমে অনেকেরই হাত-পায়ের ত্বক ও ঠোঁট ফেটে যায়। তাই এ সময় ত্বকের চাই একটু বাড়তি যত্ন। এ সময় ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, যা আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। এ রকম সময়ে ত্বকের যত্নে বা রূপচর্চায় গ্লিসারিনের ব্যবহার দেখা যায়। গ্লিসারিন মেশানো প্রসাধনীর ব্যবহারও হয় অনেক, তবে ভিন্ন ভিন্ন নামে বা প্রক্রিয়ায়।

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গ্লিসারিন সহজলভ্য ও আরামদায়ক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা খাতুন বলেন, গ্লিসারিন পরিবেশ থেকে পানি শোষণ করে ত্বককে আর্দ্র ও কোমল করে। আবার তা ধুয়ে ফেলার সময় ত্বকের স্বাভাবিক তেলজাতীয় উপাদান ধুয়ে গিয়ে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি।

যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল ও জলপাই তেল বা পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে গোলাপজল বা পানির পরিমাণ বেশি নেওয়া ভালো।

রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁট, হাত, পা বা শরীরের যে অংশের ত্বক ফেটে যায় বেশি, সেখানে গ্লিসারিন, জলপাই তেল ও গোলাপজল বা পানির মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। গোসলের পরও এসব মিশ্রণ লাগাতে পারেন। মুখের ত্বকে গ্লিসারিন সরাসরি না লাগানো ভালো, তবে অন্য স্থানে সরাসরি লাগাতে পারেন।

শীতে গোড়ালি ফেটে যায় দ্রুত। গোড়ালি ভালো করে পরিষ্কার করে গ্লিসারিন লাগিয়ে ঘুমান প্রতিদিন রাতে। দূর হবে পা ফাটা। নখ শুষ্ক হয়ে ভেঙে যাচ্ছে, এমন নখে গ্লিসারিন ব্যবহার করলে সমস্যা সমাধান হবে।

অতিরিক্ত শুষ্ক মৌসুমে গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা এটি সব মৌসুমেই স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন বা মাঝেমধ্যেই ব্যবহার করতে পারেন।