বায়ুদূষণের ক্ষতি এড়াতে করণীয়

বিশ্বের যে শহরগুলো ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার, তার মধ্যে রাজধানী ঢাকা অন্যতম। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজ, খোঁড়াখুঁড়িসহ নানা কারণে বাতাস দূষিত হয়। ত্রুটিযুক্ত যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ার সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, অ্যালডিহাইডসহ সিসার নিঃসরণ বাতাসে মিশছে। বায়ুদূষণের প্রভাবে ঢাকায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার বহুলাংশে বেড়েছে। এ ছাড়া অ্যাজমা (হাঁপানি), ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগ (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসারসহ মারাত্মক সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে গেছে।

করণীয়

• বাইরে গেলে সঠিক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন প্রকারের মাস্ক পাওয়া যায়। আমরা বেশির ভাগ সময় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করি। এ ছাড়া গেঞ্জির কাপড়ের কিছু মাস্কও পাওয়া যায়। তবে এসব মাস্ক খুব একটা কার্যকর নয়। ফিল্টারযুক্ত মাস্কে বা প্যাকেটের গায়ে এর কার্যকারিতার মাত্রা লেখা থাকে। ফিল্টারের কার্যকারিতা বোঝাতে ৯৫, ৯৯, ১০০ ইত্যাদি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যেমন ৯৫ সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা হয়, এ মাস্ক বায়ু থেকে ৯৫ শতাংশ দূষিত উপাদান ফিল্টার করতে সক্ষম। ৯৯ শতাংশ কার্যকারিতাসম্পন্ন এন ক্যাটাগরির মাস্ক ভালো বিকল্প হতে পারে।

• বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ভালো করে মুখ–হাত ধুয়ে নিন অথবা গোসল করুন। গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে ভাপ নিলে শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার হয়। আদা ও তুলসীপাতার চাও শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারে সহায়ক।

• সকালে ও দুপুরে বায়ুদূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে বিকেল ও সন্ধ্যায় দূষণের মাত্রা কমে আসে। এ সময় বাড়ির দরজা–জানালা খুলে দিন, আলো–বাতাস ঢুকতে দিন।

• বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলমূল বা শাকসবজি খেতে হবে। আমলকী, পেয়ারা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া, আম, আঙুর, কাঁচা মরিচ, জলপাই, বরই, কামরাঙা, টমেটো, বাঁধাকপি, লেবু, কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন সির গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

 বক্ষব্যাধিওমেডিসিনবিশেষজ্ঞ, ইবনেসিনাডায়াগনস্টিকঅ্যান্ডকনসালটেশনসেন্টার, লালবাগ, ঢাকা।

 আগামীকালপড়ুন: গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে কী খাবেন