ডিমের কুসুমের রঙে কী আসে যায়?

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খান। ডিমে আছে ভিটামিন, প্রোটিন ও শরীরের জন্য উপকারী চর্বি উপাদান। তাই ডিম যেন থাকে আপনার খাদ্যতালিকায়—এমনটাই বলেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকেরা।

সে আপনি যেভাবেই খান না কেন। সেদ্ধ হোক, ভাজা হোক—যেকোনো উপায়েই ডিম পুষ্টিকর। তবে সব সময় কি ডিমের কুসুম এক রকম রঙেরই হয়? না, কিছু ডিমের কুসুম হয় গাঢ় কমলা রঙের, কিছু হয় হলুদাভ, আবার কোনো কোনোটা হয়তো একটু ম্যাটমেটে। আমাদের কখনো কি মনে হয়, কেন এমনটা হয়? ডিমের কুসুম কি মুরগিটি সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয় অথবা এর ওপর কি নির্ভর করে পুষ্টিগুণের পরিমাণ?

কেউ কেউ বলেন, ডিমের কুসুমের রং ও আকৃতি আপনাকে মুরগির স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেবে। সাধারণভাবে বলা হয়, কুসুম যদি গাঢ়, শক্ত ধরনের ও গোলাকার হয়, বুঝতে হবে, মুরগিটি বেশ স্বাধীন ছিল। সে ঘুরে ঘুরে নিজের খাবার খুঁজে খেয়েছে। এবং নানান ধরনের খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। অন্যদিকে, হালকা হলুদ রঙের কুসুমের মানে হলো মুরগিটি খুব স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করত না। একটা সময় এটাই ঠিক বলে ধরে নেওয়া হতো। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে।

ডিমের কুসুমের রং আসলে মুরগির আচরণ বলে না, এমনকি পুষ্টিগুণ নিয়েও কোনো তথ্য দেয় না। বরং এটাই বলে যে ডিম দেওয়ার আগে মুরগিটি কী ধরনের খাবার খেয়েছে। যদি মুরগিটিকে প্রচুর পরিমাণে গম খাওয়ানো হয়, তাহলে ডিমের কুসুম হয় হলুদ। আবার যদি মুরগিকে খুবই ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য দেওয়া হয়, যেমন: ভুট্টা, আলফালফা–জাতীয় ঘাস, তাহলে কুসুমের রং গাঢ় হবে। এটি ভুট্টা ও আলফালফার মধ্যে থাকা কেরোটিনের প্রভাবে হয়ে থাকে।

তবে যা–ই হোক না কেন, রঙের কারণে পুষ্টিগুণে আসলে কোনো ভেদাভেদ হয় না। ডিমের সব কুসুমেই থাকে ভিটামিন এ, ডি ও ই। এমনকি স্বাদেও থাকে না কোনো পার্থক্য। এ ছাড়া ছেড়ে রাখা মুরগি বা ফার্মের মুরগির ডিমের মধ্যেও পুষ্টিগুণে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।