বাদাম নিয়ে যত কথা

কাঠবাদাম-পেস্তা বাদাম
কাঠবাদাম-পেস্তা বাদাম

সাধারণত বাদাম আমরা স্ন্যাকস হিসেবে খেয়ে থাকি। সব ধরনের বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। আর এই স্নেহজাতীয় উপাদানের বেশির ভাগই প্রয়োজনীয় ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। খারাপ ধরনের স্নেহপদার্থ থাকে খুবই কম। কিছু খনিজ পদার্থও থাকে বাদামে, বিশেষত ভিটামিন ই আর ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। যাঁদের চুল পড়ে যাচ্ছে কিংবা রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে, তাঁরা বাদাম খেতে পারেন। ত্বকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করবে বাদাম। রোগ প্রতিরোধে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা আছে।

দিনে কতটুকু বাদাম
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ৩০ গ্রাম বা এক আউন্স বাদাম। পরিমাণটা মোটামুটিভাবে এক মুঠ। যেকোনো বাদাম বেছে নিতে পারেন। কয়েক প্রকার বাদাম মিলিয়েও এক মুঠ বাদাম খেতে পারেন। রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্বাস্থ্যহানিকর (উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন ও খারাপ ধরনের স্নেহপদার্থ সমৃদ্ধ) খাবারের পরিবর্তে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে। ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। বাদাম থেকে উপকার কমবেশি একই ধরনের। সব বাদামেই সব ধরনের উপাদান থাকলেও কিছু উপাদানের পরিমাণে খানিকটা কমবেশি হতে দেখা যায়।

কাঠবাদাম-পেস্তা বাদাম
কাঠবাদামে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ পেস্তাবাদামের তুলনায় বেশি, পেস্তাবাদামে আবার শর্করার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।

আখরোট
আখরোট

আখরোট
আখরোটে কাঠবাদাম-পেস্তা বাদামের চেয়ে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ক্যালরিও পাওয়া যায় বেশি। ম্যাগনেশিয়ামও থাকে বেশ। শর্করার পরিমাণ মোটামুটি অর্ধেক। হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার পাশাপাশি মস্তিস্কের জন্যও এটি ভালো, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। মস্তিস্ক ও বুদ্ধিমত্তা বিকাশের সময়টাতে প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম (ছোট মুঠের এক মুঠ) পরিমাণ আখরোট খাওয়া ভালো।

কাজুবাদাম
কাজুবাদাম

কাজুবাদাম
কাজুবাদামে তুলনামূলকভাবে শর্করার পরিমাণ বেশি, আমিষ ও স্নেহের পরিমাণ কম। ম্যাগনেশিয়ামও থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। খাবারের মধ্যে আমরা যদি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গ্রহণ করি, সেগুলোর শোষণের হার বাড়াতে সহায়তা করে।

চিনাবাদাম
চিনাবাদাম

চিনাবাদাম
চিনাবাদামে শর্করা ও আমিষ তুলনামূলকভাবে কম, এতে বেশি থাকে স্নেহজাতীয় উপাদান। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া ঠিক নয়, ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। চিনাবাদামে কারও কারও অ্যালার্জি থাকে। কোনো কোনো অ্যাজমা (বা শ্বাসকষ্ট) রোগীদের জন্য একটি অ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তু হতে পারে চিনাবাদাম (সব অ্যাজমা রোগীরই নয়)। যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই এড়িয়ে চলুন চিনাবাদাম।