নকশায় এক দশক

২০২০ সালে নতুন দশকে প্রবেশ করলাম আমরা। পেছনে ফেলে এলাম আরও একটি দশক। সারা বিশ্বের সঙ্গে পরিবর্তন, পরিবর্ধন এসেছে নকশাতেও। নকশার বয়স ২১ হলেও গত এক দশকের নকশায় জীবনযাপন, সাজপোশাকের েয ধারা উঠে এসেছে, তা আলোচনা করা হয়েছে এখানে। নকশায় ২০১০ থেকে ২০১৯ কেমন ছিল—সেটি নিয়ে প্রতিবেদন।

নকশার মডেল হয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা েসনগুপ্ত
নকশার মডেল হয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা েসনগুপ্ত

নকশার বিশেষ আয়োজন

দশকের বিভিন্ন সময়ে নকশা নানা বিষয় ধরে বিশেষ আয়োজন করেছে। খাবারে পিঠাপুলি, ইলিশ মাছ, হালুয়া-রুটি, নাশতা ইত্যাদি। পোশাকে জামদানি, খাদি, মসলিন, সিল্ক। এ ছাড়া লেবু, আম বা ফ্রিদা কাহলো থিমে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন বছরের নকশা। পয়লা ফাল্গুন, পয়লা বৈশাখ, ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারি, ঈদ, পূজা, বড়দিনে থাকে বিশেষ আয়োজন। ঢাকা শহরের বাইরে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নকশার ফটোশুটে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের জনপ্রিয় প্রথম সারির তারকা অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, খেলোয়াড় বিভিন্নভাবে এসেছেন নকশার পাতায়। এক দশকে অনেক বিদেশি তারকাও নকশার মডেল হয়েছেন। এর মধ্যে ভারতের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সিনা চৌহান, রোজা দে, মুম্বাইভিত্তিক বাংলাদেশি সুপার মডেল আসিফ আজিম, ইউক্রেনের জনপ্রিয় মডেল লুবোভ, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় মডেল মিষ্টি রহমানসহ অনেকে নকশার মডেল হয়েছেন গত দশকে।

বিয়ে উৎসবের ফ্যাশন শোতে নিপুণ, ফেরদৌস ও পূর্ণিমা
বিয়ে উৎসবের ফ্যাশন শোতে নিপুণ, ফেরদৌস ও পূর্ণিমা

মেয়েদের পোশাকে নতুন আঙ্গিক

গত দশকের শুরুতেই শাড়ির সঙ্গে কটি পরার একটা প্রচলন শুরু হয়। জিনসের সঙ্গে খাটো কুর্তা পরার প্রচলন ছিল। অক্ষরচিত্র দিয়ে পোশাক তৈরি করে সাড়া ফেলে ফ্যাশন হাউস অ্যান্ডেজ। ছেলে ও মেয়েদের পোশাকে পুরো হাতার চল দেখা যায় ২০১০ সালে। পরের বছরই লম্বা কামিজ জনপ্রিয়তা পায়। তসর শাড়িও চলেছে ২০১১ সালে। ২০১২ সালে বিশেষভাবে চোখে পড়ে একরঙা লেগিংস। ছিল পোশাকে বাটিক নকশার ব্যবহার। লম্বা কামিজে চোখে পড়ে চওড়া ইয়োকের ব্যবহার।

২০১৩ সালে এসে লম্বা কামিজে ফ্লেয়ার কাট, কলি কাট আর চোস্ত পাজামার চল শুরু হয় আবার। ২০১৪ সালে একরঙা লেগিংস হয়ে পড়ে রঙিন আর ছাপা নকশায় বাহারি। 

২০১৪ সালে নতুন ফ্যাশনের সঙ্গে পরিচয় ঘটায় নকশা-পালাজ্জো। এখনো এ ধারা চলছে। মেয়েদের ব্লাউজে টারসেল, ঝুনঝুনি ও লেইসের ব্যবহার চোখে পড়ে। কম খরচে কুর্তা বানানোর কৌশল, দেশি শাড়ি পরে কীভাবে আধুনিক সাজে উপস্থাপন করা যায় তা দেখানো হয়। ২০১৫ সালে এসে পশ্চিমা ধারার পোশাক বেশি জনপ্রিয়তা পেতে দেখা যায়। এর মধ্যে জাম্পস্যুট, ম্যাক্সি ড্রেস, গাউন, পোশাকের সঙ্গে থাকা (সেলাই করা) লম্বা কটি, লেসের পোশাক ইত্যাদি দেখা যায়। ২০১৬ সালে জনপ্রিয় হয় কেপ। শাড়ি, টপ বা কামিজের ওপর কেপ পরার প্রচলন ছিল। স্কার্ট আর পোশাকে ডিজিটাল প্রিন্ট জনপ্রিয় হয় ওই বছর। 

২০১৭ সালে এসে দেখা মেলে মেয়েদের শেরওয়ানি। পোশাকের হাতায় কোল্ড শোল্ডার, অফ শোল্ডারের চল বাড়ে। ২০১৮ সালে বেশি দেখা যায় ফ্রিল দেওয়া চওড়া হাতার চল। ২০১৯ সালে এসে শাড়ি, কামিজ, দোপাট্টা, ব্লেজার, কটিতে ফুলেল নকশা জনপ্রিয় ছিল। ছিল ডোরাকাটা নকশা, ফুলকলি, প্যাচ ওয়ার্কের নকশা।

ছেলে ও বাবার ঈদ পোশাকে অভিনেতা অপূর্ব ও তাঁর ছেলে আয়াশ
ছেলে ও বাবার ঈদ পোশাকে অভিনেতা অপূর্ব ও তাঁর ছেলে আয়াশ

ছেলেদের পোশাকেও পরিবর্তন

গত দশকের শুরুতে ছেলেদের পোশাকের ধারায় জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা ফতুয়া প্রায় বাদ পড়তে বসেছে এই দশকে। আবার শেষ দুই বছরে এসে ছেলেদের পোশাকেও জনপ্রিয়তা পায় ফুলেল নকশা আর প্রাণির ছাপা ছবি (অ্যানিমেল প্রিন্ট)। নানা রঙের টি-শার্ট আর আঁটসাঁট পোশাক বেশি চলেছে ২০১১ সালে। ২০১২ সালে ছেলেদের টি-শার্টে জনপ্রিয় হয় অ্যাংরি বার্ডস, সুপারম্যান, অ্যাভেঞ্জার্স, টিন টিনের ছবি। এ ছাড়া নানা রকম লেখাও দেখা যায় টি-শার্টে। পাঞ্জাবির কাট অনেকটা ঢিলেঢালা ছিল ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে এসে শীতে ছেলেদের মধ্যে সোয়েটার পরার চল বাড়ে। অনেকে বেশি শীতেও ‘মিডল গার্মেন্টস’ হিসেবে সোয়েটার পরে তার ওপর জ্যাকেট পরেছেন। চলেছে ঢোলা ট্রাউজার। ২০১৫ সালে পাঞ্জাবির সঙ্গে কটি পরার ধারা জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ২০১৬ সালে ছেলেদের পোশাকে অল্প বিস্তর ছাপা নকশার দেখা মেলে। ২০১৭ সালে এসে জগার নামের নতুন ধরনের প্যান্ট দেখা যায় নকশার পাতায়। শীতে ছেলেরা হুডি ও টুপি পরেছে শীতপোশাকের সঙ্গে।

ঈদের যুগল পোশাকে অভিনেত্রী নাবিলা ও তাঁর স্বামী রীম
ঈদের যুগল পোশাকে অভিনেত্রী নাবিলা ও তাঁর স্বামী রীম

সাজের ধারা কোন পথে?

প্রথম আলোর মঙ্গলবারের ক্রোড়পত্র নকশার গত ১০ বছরের সংখ্যাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, চোখ সাজাতে কাজল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল পুরো দশকে। কখনো মোটা করে কাজল দেওয়া হয়েছে, কখনো কাজল দিয়ে আঁকা হয়েছে চোখের দুই দিকের নকশা। স্মোকি সাজে চোখ দেখা গেছে কয়েক বছর। ২০১০ সালে মুখে ছবি (মুখচিত্র) আঁকার চল বাড়ে। সেবার সাজে তরল ও চকচকে (গ্লসি) লিপস্টিক চলেছে। ২০১১ সালে এসে মেকআপের বেজ হালকা হয়েছে। ঠোঁটে চলেছে গোলাপি ও পিচ রঙের লিপগ্লস। ২০১২ সালে ত্বক বুঝে মেকআপ করতে দেখা গেছে। মেরুন, বার্গেন্ডি ও চকলেট রঙের লিপস্টিক ব্যবহার হয়েছে বেশি। ২০১৩ সালে বাদামি, তামাটে, কফি রঙের চোখের সাজ চলেছে। আর মেকআপে ট্যানড টোন দেখা গেছে। ২০১৪ সালে এসে সাজে ঠোঁট বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। লাল, গোলাপি, পিচ, বার্গেন্ডি, বেগুনি, কমলা ইত্যাদি উজ্জ্বল রং দেখা গেছে। ক্যাট আই লাইনার ছিল চোখে। ২০১৫ সালেও বেজ মেকআপ হালকা রেখে কড়া রঙে ঠোঁট সাজাতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালে চোখের সাজে গ্লিটার ও একরঙা আইশ্যাডোর চল ছিল। ২০১৭ সালে চলেছে ন্যুড মেকআপের জয়জয়কার। ২০১৮ সালে চোখের সাজের ধারা ছিল অনেকটা ধাক্কা খাওয়ার মতো। কড়া রং ব্যবহার করে চোখ সাজানোর চল ছিল তখন। চোখ ও ত্বকের মেকআপে দশক শেষ হয়েছে ন্যাচারাল বা সহজাত ধারা গুরুত্ব দিয়ে।

চুলের সাজের পরিবর্তন তুলে ধরেছে নকশা
চুলের সাজের পরিবর্তন তুলে ধরেছে নকশা

চুলের স্টাইল

দশক শুরু হয় সামনের দিকে চুল ছাঁটা দিয়ে। ২০১২ সালে দেখা যায় টেনে বাঁধা চুল। পরের বছরই সেই ধারা পাল্টে যায় খোঁপায়। ঢিলেঢালাভাবে চুল বাঁধতে দেখা যায় ২০১৩ সালে। আর ২০১৪ সালে ছিল নানা রকম বেণি করার চল। চুলের সাজে পাথর আর মুক্তার ব্যবহার চোখে পড়ে ২০১৫ সালে। পরের বছর কোঁকড়া চুলের স্টাইল বেশি দেখা গেছে। ২০১৭ সালে এসে অনেকেই চুল রং করান। ২০১৮ সালে চুলের সাজে চিকন নানা রকম বেণি করার চল দেখা যায়। আর শেষ বছরে চুলে বব পিনের ব্যবহার বাড়ে। লম্বা বব কাটও ছিল জনপ্রিয়। চুলে বিভিন্ন মৌসুমে ফুল পরার চল দেখা যায় দশকজুড়ে।

দশকজুড়ে গয়না

দশকের শুরুতে চিকন ও হালকা গয়না দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। সোনার প্রলেপ দেওয়া গয়না চলেছে। ২০১১ সালে এসে সেটার ঠিক উল্টো চিত্র! গলা ও হাতভরা জাঙ্ক জুয়েলারি পরেছেন তরুণীরা। ২০১২ ও ২০১৩ সালেও প্রায় সেই ধারা চলেছে। তবে ২০১৪ সালে এসে বিব নেকলেসের চল বাড়ে। শুধু আংটি পরার চলও দেখা গেছে সেবার। ২০১৫ সালে এসে গলায় ঝুলেছে বড় নেকলেস। ২০১৬ সালে মুক্তার মালা, দুল, ব্রেসলেট ইত্যাদি দেখা গেছে। ২০১৭ সাল ছিল চোকার পরার বছর। ২০১৮ সালে বেশি চলেছে মেটালের গয়না। ২০১৯ সাল পুরোটায় রাজত্ব করেছে রুপালি গয়না।

চলতি ধারার অনুষঙ্গ গুরুত্ব পেয়েছে সবসময়
চলতি ধারার অনুষঙ্গ গুরুত্ব পেয়েছে সবসময়

বছর বছর পাল্টেছে ব্যাগ ও জুতা

২০১০ সালে ব্যালেরিনা শু বেশি পরেছে মেয়েরা। ক্লাচ ব্যাগ ছিল সেবার জনপ্রিয়। ২০১১ সালে মেয়েরা পরেছে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল ও স্লিপার। ছেলেদের পরনে ছিল স্নিকার। এক বছর পরই আবার ওয়েজেস, প্ল্যাটফর্ম হিল, স্টিলেটো জনপ্রিয় হয় মেয়েদের পায়ে। সেবার ছেলেরা বেশি পরেছে কেডস। তবে গত দশকে বুট জুতা পরতে দেখা গেছে সাধারণ তরুণদেরও। ২০১৩ সালে কাপড়ের জুতার চাহিদা বেড়েছিল। ব্লক হিল জনপ্রিয়তা পায় ২০১৫ সালে। দশকের শেষ বছরে দেখা গেল শীতের উপযোগী নতুন ধরনের মুখবন্ধ জুতা। শাড়ি বা কামিজের সঙ্গে মেয়েদের কেডস পরার চল দেখা যায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। মেয়েদের ব্যাগে কখনো পাটের, কখনো বাঁশ বা বেতের ব্যবহারও দেখা যায়। বটুয়া চলেছে যে বছর পরের বছর আবার পাল্টে গেছে বড় উজ্জ্বল রঙের ব্যাগে।

বিয়ের বিশেষ আয়োজন

নকশা শুরু থেকেই দেশি ফ্যাশন দেশি পণ্য তুলে ধরার কাজ করছে। বিয়ের আয়োজন নিয়ে তো কথাই নেই। প্রতি বছরই বেরিয়েছে বিয়ে নিয়ে নকশার বিশেষ সংখ্যা। এ সংখ্যাগুলোতে বর–কনের সাজে দেখা গেছে সেই বছরের চলতি পোশাক ও গয়না। একই সঙ্গে দশকজুড়ে বিয়েতে পরা হয়েছে দেশি শাড়ি, লেহেঙ্গা, কামিজ, শেরওয়ানি, প্রিন্স কোট, ব্লেজার, গয়না ইত্যাদি। একই সঙ্গে ব্লাউজ, মেকআপ, ভেন্যু, বিয়ের খাবার, বাহন, হলুদের আয়োজন—সবকিছুতেই প্রতিবছর চমক রাখার চেষ্টা করে নকশা। 

এর বাইরে ‘বিয়ের বাজার দেশেই’—এই স্লোগানে নকশার আয়োজনে নিয়মিভাবেই হয়েছে বিয়ে উৎসব।

ফ্রিদা কাহলো থিমে নকশায় ছিল বিশেষ প্রতিবেদন
ফ্রিদা কাহলো থিমে নকশায় ছিল বিশেষ প্রতিবেদন

বদলেছে খাবারের ধরন

এক দশকে নকশায় নিয়মিত ছাপা হচ্ছে খাবারের রেসিপি। চিরচেনা মাছ, মুরগি, গরু, খাসির নানা পদ, খিচুড়ি, কেক, কুকিজ, মুজ ইত্যাদিতেও বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে। দশকের শুরুর দিকে খাবার পরিবেশনে টমেটো, শসা, লেটুস, ডিম ইত্যাদি কেটে ফুল সাজিয়ে দেওয়া হতো থালার পাশে। এখন সেই ধারা বদলেছে। এখন খাবারটাই থাকে প্রধান। যোগ হয়েছে খাবার পরিবেশনে ভিন্ন ধারার তৈজসপত্রের ব্যবহার। রান্না থেকে পরিবেশন—সবকিছুতেই বোহিমিয়ান ধারা এখন বেশি দেখা যায়। বিদেশি খাবার খাওয়ার দিকে মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। রেস্তোরাঁয় খাবারের চাহিদা বেড়েছে। আসল (অথেনটিক) চীনা খাবার, থাই খাবার, ইতালীয় খাবার, আরবি, জাপানি, ম্যাক্সিকান খাবারের দোকানে গিয়ে খেতে দেখা যাচ্ছে। ঘরের খাবারে তেল ও চর্বির ব্যবহার কমানোর দিকে ঝোঁক দেখা যায়। শিশুদের খাবারে অভিনবত্ব ছিল বেশি। কাগজে ছাপা রেসিপি, ইন্টারনেট আর ইউটিউব দেখে রান্নার আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। সালাদ খাবারের প্রধান মেন্যুতে যুক্ত হয়েছে গত দশকে।

শিশুদের জন্য

যেকোনো বিশেষ উৎসবে শিশুদের পোশাক ও অনুষঙ্গ থাকে বিশেষ অগ্রাধিকারে। ঈদে, বৈশাখে শিশুদের পোশাকের ধারা নিয়মিত দেখানো হয়। অনেক সাধারণ শিশু নকশায় মডেল হওয়ার পর তারকা খ্যাতি পেয়েছে গত এক দশকে। শিশুদের শাড়ির সঙ্গে সেলাই দিয়ে কুচি সেট করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছোট্ট শিশুদের জুতা। ছোট্ট পায়ের নানা রকম রঙিন জুতা চলেছে পুরো দশক। ছেলেশিশুদের জন্য বাবার মতো করে পাঞ্জাবি বা শার্ট, টি-শার্ট পরার চল বেড়েছে।

পুরো দশকজুড়েই নাকশায় পোশাকের নানা ধারার উপস্থাপন
পুরো দশকজুড়েই নাকশায় পোশাকের নানা ধারার উপস্থাপন

অন্দরসজ্জার এক দশক

ছাদ বাগানের দিকে বেশি ঝোঁক দেখা গেছে গত এক দশকে। ঘরে ফুলদানিতে তাজা ফুল বিভিন্ন ঋতুতে এনে দিয়েছে সেই সময়ের আবহ। ঘরের রং কখনো হালকা, কখনো গাঢ় আবার কখনো হয়েছে চিত্রকর্মে রঙিন। ঘরের পর্দায় শুরুর দিকে ব্লক, বাটিকের প্রভাব থাকলেও দশকের শেষে এসে হালকা এক রং দেখা যাচ্ছে। কুশন, শতরঞ্জি, সোফা, চেয়ারটেবিলও বদলেছে বছর বছর। পুরোনো শাড়ি কেটে পর্দা বানানোর ঝোঁক ছিল ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। ঘরের দেয়াল থিম ধরে সাজানো হতো ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালে বেঞ্চ চলে এসেছে অন্দরে। ঘরের ভেতরে গাছ রাখার পটও পাল্টে গেছে। কোনো বছর ইমোটিকন দেওয়া সিরামিকের পাত্র, কোনো বছর প্লাস্টিকের পট, আবার পুরোনো বোতল, বালতি বা কেটলিতেও গাছ লাগাতে দেখা গেছে।