শালের ওম

ভেলভেটের চাদরে পাওয়া যাবে উষ্ণতা। মডেল: ওশিন, চাদর: মিথ। ছবি: সুমন ইউসুফ। স্থান: তাও টাউন
ভেলভেটের চাদরে পাওয়া যাবে উষ্ণতা। মডেল: ওশিন, চাদর: মিথ। ছবি: সুমন ইউসুফ। স্থান: তাও টাউন
পোশাক ও চাদর: অরণ্য
পোশাক ও চাদর: অরণ্য

প্যাচওয়ার্কের শাল

খুঁতের ডিজাইনার ঊর্মিলা শুক্লা বলেন, শীত নিয়েই এখন চলে ফ্যাশন। শীতকে ফ্যাশনের অংশ করে নিয়ে শীতের সময়টাকে উপভোগ করা যায়। খুঁত এনেছে প্যাচওয়ার্কের শাল। টুকরা টুকরা কাপড় জুড়ে হয় প্যাচওয়ার্ক। কাঁথা দিয়ে পুরো শরীরটাকে মুড়িয়ে রাখার বিষয়টি মাথায় রেখে পুরো শালে এখন প্যাচওয়ার্কের কাজ করা হয়। একরঙা শালের কিছুটা অংশেও প্যাচওয়ার্ক করা কাজও পাবেন। প্যাচওয়ার্কে থাকে বহু রঙের সমাহার। রঙিন ও ফ্যাশন উপযোগী এসব শাল বেশ আরামদায়ক বলেই জানালেন ঊর্মিলা শুক্লা। চাইলে আটপৌরে ব্যবহারও করতে পারেন, আবার অনায়াসে যেকোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় গায়ে দিতে পারেন। সিল্কের কাপড়ের ওপর নকশিকাঁথার ফোঁড় এপার-ওপার ঘুরে বেরিয়েও নকশা তুলে আনছে। টাইডাই, ব্লক প্রিন্ট তো পুরোনো গল্প। তারপরও এখনো ঐতিহ্যের সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে।

পোশাক ও চাদর: খুঁত
পোশাক ও চাদর: খুঁত

নতুনত্বে আভিজাত্য

অদ্রিয়ানার ফ্যাশন ডিজাইনার নাজিয়া হাসান জানালেন, ভেলভেটের শালে যেমন উষ্ণতা পাওয়া যায়, তেমনি তা আভিজাত্যের পরিচয়ও দেয়। গৎবাঁধা উলের শালের ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে ভিন্ন ম্যাটেরিয়াল ও ভিন্ন রঙের শাল বেছে নেওয়া যায়। আজকাল ভেলভেটের শালে নানা কাজ হচ্ছে। কারচুপি, এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড পেইন্ট কিংবা ব্লকপ্রিন্ট—সবই হতে পারে ভেলভেটের শালে। ভেলভেটের চকচকে শালের চারপাশে পাড়, সঙ্গে ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে কাজ থাকলে দারুণ দেখায়। শালের চারপাশে ফ্রিল থাকতে পারে, টার্সেল থাকতে পারে। শাড়ি, কামিজ বা জিনস, টপ—সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় শাল। চিরাচরিত কালো, মেরুন বা নীল রং ছাপিয়ে ফ্যাশনধারায় উঠে এসেছে হালকা বেগুনি, সি-গ্রিন, পিচ–গোলাপি, জলপাই-সোনালি, পেস্ট, শর্ষে-হলুদ, হালকা ছাই রং আর সুরমা রং। অন্যদের চেয়ে আলাদা দেখাতে ভিন্ন ধাঁচের রং বেছে নিতে পারেন। সুন্দর এসব শালে সাজতে পারেন নানাভাবে। জারদৌসি বা ভারী সিকোয়েন্সের কাজ করা শাল পরে অনায়াসেই আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে যেতে পারেন।

চাদরের ওপর নানা নকশা। পোশাক ও চাদর: অঞ্জনস
চাদরের ওপর নানা নকশা। পোশাক ও চাদর: অঞ্জনস

মিথের ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক মো. সাব্বির নেওয়াজ বলেন, দেশের বাইরে আরও আগে থেকেই ভেলভেটের শাল বেশ ফ্যাশনেবল। বাংলাদেশে এই বছর বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ভেলভেটের শাল। সোনালি সুতার কাজ, স্যামো সিল্কের পাইপিং চমৎকার সব নকশা রয়েছে ভেলভেটের শালে। পুরো শালেই থাকছে কাজ। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে শাল আর ওড়না দুটোই কিনতে পারেন, যাতে আবহাওয়া অনুযায়ী যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী রং ও ডিজাইনের শালও বেছে নেওয়া হচ্ছে আজকাল। গাঢ় শেডের সবুজ ও মেরুন, রয়্যাল ব্লু—এসব রংও পছন্দ করতে পারেন অনেকে। শাল যখন হয়ে ওঠে ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ, এর সঙ্গে যেকোনো সাধারণ পোশাকও হয়ে উঠতে পারে জমকালো।

মডেল: ফোয়ারা , পোশাক ও চাদর: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
মডেল: ফোয়ারা , পোশাক ও চাদর: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ