বসন্তে সাজি ভালোবাসার সাজে

বসন্তবরণে চুলের সাজে ফুল েতা থাকবেই। সাজ: বিন্দিয়া এক্সক্লুিসভ, মডেল: নিধি ও তানহা
বসন্তবরণে চুলের সাজে ফুল েতা থাকবেই। সাজ: বিন্দিয়া এক্সক্লুিসভ, মডেল: নিধি ও তানহা

পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস এসেছে মিশ্র একটি আবহাওয়ায়। এই সময়ে ফুলেল আবহের প্রাধান্য থাকে বেশি। শীতের বৈরী ভাব চলে যেতে থাকে এবং প্রকৃতি যে নতুন সাজে সেজে ওঠে, সে সাজে সাজি আমরাও। তাই সাজে থাকে প্রকৃতির ছোঁয়া। কৃত্রিমতা নয়, প্রকৃতির উপাদানগুলোই হতে পারে বসন্ত বা ভালোবাসা দিবসের সাজের প্রধান অনুষঙ্গ।

প্রকৃতির সৃষ্টিগত সৌন্দর্য যদি সাজে আনা যায়, তা লাবণ্য বাড়ানোর পাশাপাশি ভিন্নতাও আনবে বেশ। তাই তো রঙিন ফুল ও পাতার ব্যবহার বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের সাজের মূল উপকরণ।

এ ছাড়া বাঙালি সাজের কিছু চিরচেনা বৈশিষ্ট্য বসন্তের অন্যতম অংশ। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে চোখে কাজল, হাতে রেশমি চুড়ি, কপালে টিপ আর খোঁপায় গোঁজা রঙিন ফুলের মালা। শাড়ি, কামিজ বা স্কার্ট—সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই এই ঢঙে সাজ সহজে মানিয়ে যাবে।

তবে দিনের সাজে হালকা মেকআপই মানানসই আর রাতের সাজ হতে হবে কিছুটা গাঢ়। দিনের বেলায় ড্রাই মেকআপ হলেও রাতের সাজে চোখ হতে পারে স্মোকি বা গ্লিটারি ও লিপস্টিক হবে হালকা কোনো রঙের।

সালোয়ার–কামিজ কিংবা টপের সঙ্গে এমন চুল মানাবে। পোশাক: বিশ্বরঙ
সালোয়ার–কামিজ কিংবা টপের সঙ্গে এমন চুল মানাবে। পোশাক: বিশ্বরঙ

দু–এক বছর ধরেই সাজের ধারায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। চোখের মেপআপ জাঁকজমকপূর্ণ হলেও লিপস্টিকের রঙে রাখা হচ্ছে প্রাকৃতিক ছোঁয়া। কন্টিউর বেইজ মেকআপ ও হাইলাইট মেকআপ ভালোবাসা দিবসের সাজে লক্ষ করা যাবে। এ ধরনের মেকআপে বেইজ ভারী হলেও রং খুব গাঢ় নয়। ত্বকের প্রাকৃতিক রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এমন মেকআপ করা হয়। তবে ফাল্গুনে কন্টিউর বা হাইলাইট মেকআপ না করে একেবারেই প্রাকৃতিক মেকআপ ও ফুলের সাজে সাজা যায়—এমনটাই মনে করেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের প্রধান রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।

আবার পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপ করাও কিন্তু খুব জরুরি। শাড়ির পাশাপাশি কামিজ, আনারকলি কাটিংয়ের জামা ও টিন মেয়েদের দেশি ঢঙের স্কার্টের সঙ্গে সাজ হবে ভিন্ন ভিন্ন।

লাল, কমলা ও হলুদ রঙের মিশেলের স্কার্টের সঙ্গে টিন মেয়েদের সাজ হবে ছিমছাম। চোখে গাঢ় আইশ্যাড না দিয়ে ম্যাট রং ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লিপস্টিক হবে লাল বা কমলা রঙের। আর ফুলেল আবহ আনতে মাথায় পরা যেতে পারে কমলা বা বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলের ব্যান্ট।

চুলে থাকতে পারে হালকা ঢেউ খেলানো ভাব, বেণি বা একেবারে সোজা চুলের সামনে থেকে খানিকটা বেণি। তবে বসন্তবরণে শাড়ি পরলে চিরচেনা সেই সাজই রাখতে পারেন। হলুদ, কমলা আর লাল রঙের শাড়ির সঙ্গে খোঁপাভরা ফুল বা গলায় হাতে ফুলের মালাই তো ফাল্গুনের প্রকৃত রূপ। 

আর হাতে কাচের রেশমি চুড়ির সঙ্গে কপালে ছোট লাল বা কমলা টিপ—ব্যস, হয়ে যাবে বসন্তবরণের সাজ।

ভালোবাসার রং বলতেই আমরা লাল বুঝি, তাই এই দিনে সাজে লাল রঙের প্রাধান্য থাকে বেশি। তবে ফাল্গুনেও লাল কসমস, রক্তজবা পরা যাবে।

ভালোবাসা দিবসের দিনের বেলার সাজে লাল লিপস্টিক ও সঙ্গে চোখে হালকা লাল, সোনালি আইশ্যাডোই যথেষ্ট। আনারকলি জামার সঙ্গে এ ধরনের সাজে খোলা চুল রাখতে পারেন। আর রাতের সাজে শাড়ির সঙ্গে চুলে একগুচ্ছ লাল গোলাপ আনবে পূর্ণতা।