হাজারো পর্যটকের ভিড় খাগড়াছড়িতে

খাগড়াছড়ির আলুটিলার কাছে খাস্রাং রিসোর্ট। ছবি: প্রথম আলো
খাগড়াছড়ির আলুটিলার কাছে খাস্রাং রিসোর্ট। ছবি: প্রথম আলো

পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে খাগড়াছড়ি পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো হাজারো পর্যটকের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলার বাইরে থেকে দল বেঁধে পর্যটকেরা আসা শুরু করেছেন। কাল শুক্রবার সকালে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। দিবসটি উপলক্ষে হোটেল-মোটেলগুলোও দিচ্ছে নানা ধরনের ছাড়। পর্যটক আসায় খুশি হোটেল-মোটেল মালিকেরাও। পর্যটনকেন্দ্রগুলোও সাজানো হয়েছে নানাভাবে।

খাগড়াছড়ির অন্যতম হোটেল গ্রিন স্টারের মালিক কল্যাণমিত্র বড়ুয়া বলেন, ‘আমার হোটেলে এসি, ননএসি, ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আমরা ২০-৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি।’
হোটেল গাইরিংয়ের মালিক অনন্ত ত্রিপুরা বলেন, তাঁদের হোটেলে বৃহস্পতিবার সকালেই বেশির ভাগ রুমের বুকিং হয়ে গেছে।

আজ সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কে গিয়ে দেখা যায় ভিড়, সেখানে কথা হয় রবিউল ইসলাম ও লামিয়া ইসলাম নামের এক দম্পতির সঙ্গে। কাল শুক্রবার বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করার জন্য প্রথমবার ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এসেছেন তাঁরা। জানালেন, পার্কে এসে সব থেকে ভালো লেগেছে লাভ পয়েন্ট।

জেলা পরিষদের নাজির মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে জেলা পরিষদ পার্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য করা হয়েছে কিডস জোন। বড়দের জন্য তৈরি করা হয়েছে জুমঘর ও লাভ পয়েন্ট।

আজ দুপুরে মায়াবিনী লেকে গিয়ে দেখা যায় লোকে লোকারণ্য। সেখানে কেউ করছেন কায়াকিং, কেউবা নৌকা ছড়ছেন। মায়াবিনী লেকের টিকিট বিক্রেতা উখামং মারমা বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক টিকিট বিক্রি হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।