অন্দরে মানিয়ে যাক ফ্রিজ

রান্নাঘরে থাকুক গাঢ় রঙের ফ্রিজ
রান্নাঘরে থাকুক গাঢ় রঙের ফ্রিজ

ঘরের কাজে ফ্রিজের ব্যবহার অপরিহার্য। তাই অন্দরসাজে ফ্রিজ যে জায়গায় রাখবেন, তার জন্যও থাকে বিশেষ আয়োজন। অন্দরসজ্জাবিদেরা মনে করেন, ফ্রিজ রান্নাঘরে রাখাই ভালো। তবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে রান্নার যে ধারা, তাতে রান্নাঘরে ফ্রিজ মেইনটেইন করা বেশ কষ্টই বটে। আবার জায়গাটাও একটা ব্যাপার। আমাদের দেশে রান্নাঘরের জায়গা খুব অল্প হয়ে থাকে। যে কারণে জায়গা খুব অল্প হওয়ায় ফ্রিজ রাখা সেভাবে সম্ভব হয় না। ঘরে ফ্রিজ রাখার জায়গাটা যেন রান্নাঘরের খুব কাছাকাছি হয়, এমনটাই বললেন ডিজাইন কোড ইন্টেরিয়রের কনসালট্যান্ট আবদুল্লাহ আল মিরাজ। এখন অনেকেই ফ্রিজ রাখার জায়গায় নানা আয়োজন করে থাকেন।

বেশির ভাগ বাড়িতে খাওয়ার ঘরে ফ্রিজ রাখা হয়। আর ফ্রিজ রাখার জন্য বেছে নেওয়া হয় নির্দিষ্ট একটি কোনা। কোনাটি যেন রান্নাঘরের কাছাকাছি হয়। স্থানটি নান্দনিক করতে দেয়ালে বিপরীত (কনট্রাস্ট) রং বেছে নিতে পারেন। ইদানীং কাচের দরজার ফ্রিজের বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানালেন ট্রান্সকমের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। রঙের ক্ষেত্রে গাঢ় রং বেশ জনপ্রিয়। তবে হালকা রঙের ফ্রিজের চাহিদাও রয়েছে বেশ। যে জায়গায় ফ্রিজ রাখবেন, সে জায়গার দেয়াল রাঙাতে পারেন রঙিন করে। এ ক্ষেত্রে শুধু ফ্রিজের পেছনের অংশটুকু ফাঁকা রাখুন। বাকি দেয়াল রাঙান বিপরীত রঙে। ফ্রিজের রং যদি লাল হয়, তাহলে দেয়ালে হালকা রং ভালো লাগবে। আবার ফ্রিজ যদি হয় হালকা শেড যেমন ছাই বা সাদা রঙের হয়, তবে দেয়াল রাঙান গাঢ় রঙে।

ফ্রিজ সাজাতে ব্যবহার করা যায় নানা ধরনের চুম্বক। কৃতজ্ঞতা: প্রাসকোভিয়ার
ফ্রিজ সাজাতে ব্যবহার করা যায় নানা ধরনের চুম্বক। কৃতজ্ঞতা: প্রাসকোভিয়ার

ফ্রিজ সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম নকশার চুম্বক আর স্টিকার। ওপরে রাখতে পারেন ফুলদানি। অযথা বাড়তি কিছু ফ্রিজের নান্দনিকতাকে নষ্ট করে। এ জন্য বেশি কিছু ফ্রিজ সাজাতে ব্যবহার না করাই ভালো।

যদি রান্নাঘরে ফ্রিজ রাখার জায়গা থাকে আর সেখানে যদি ফ্রিজ রাখতে চান, তবে গাঢ় রঙের ফ্রিজ বেছে নিন। এ ধরনের ফ্রিজের ওপরে কেবিনেট ব্যবহার করতে পারেন। কেবিনেট থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ফ্রিজের রঙের ফলের ঝালর। এ ছাড়া ফ্রিজের আশপাশে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। রাখলেও যাতে নিচু আসবাব হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।