এখন সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা

সন্তানপ্রত্যাশী অনেকেই এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। তাঁদের মনে প্রশ্ন, করোনাভাইরাসের মহামারির এ সময় সন্তান নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে কি না। কিছু বিষয় বিবেচনায় নিলে এ ব্যাপারে সহজেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এগুলো হলো:

• সন্তান নিতে নিজে শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত।

• কোনো ঝুঁকিপূর্ণ রোগ (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা বা কিডনির সমস্যা) আছে কি না।

• নিজের কিংবা স্বামীর অথবা পরিবারের অন্য কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না।

• গর্ভবতীর অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা না থাকলে তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের মতোই।

• সব ধরনের সাবধানতার পরও অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন। এরই মধ্যে করোনায় সংক্রমিত অনেক নারী তেমন কোনো জটিলতা ছাড়াই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মায়ের করোনা হলে গর্ভপাত, বাচ্চার ওজন কম হওয়া, সময়ের আগে প্রসব হওয়ার মতো জটিলতার কথা এখনো শোনা যায়নি। এ বিষয় নিয়ে গবেষণালব্ধ ফলাফলও অপ্রতুল। এমনকি করোনায় আক্রান্ত মায়ের গর্ভপাত বা গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার পক্ষেও সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

• এ সময় গর্ভধারণ করলে নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।

• কোনো জরুরি অবস্থায় যেমন আকস্মিক রক্তপাত বা গর্ভপাত, ডিম্বনালি ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, সচেতনতা ও সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা এখন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। বাইরে একেবারেই যাবেন না। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি থেকে দূরে থাকুন। পুষ্টিকর খাবার খান। অন্তঃসত্ত্বা হলে টেলিমেডিসিনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

লেখক: মেডিকেল অফিসার, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা