ঈদে সুনেরাহ্র দেশি পদ

>
সুনেরাহ্‌ এবার ঈদে রাঁধবেন পোলাও, কাবাবের মতো খাবার। ছবি: সংগৃহীত
সুনেরাহ্‌ এবার ঈদে রাঁধবেন পোলাও, কাবাবের মতো খাবার। ছবি: সংগৃহীত
পাস্তা তাঁর পছন্দের খাবার। সময় পেলে প্রতি সপ্তাহেই বানিয়ে ফেলেন পাস্তার নতুন নতুন পদ। পাশ্চাত্য ধাঁচের খাবার বেশি পছন্দ বলে সেগুলোই বেশি বানান। তবে ঘরবন্দী এই সময়ে অভিনেত্রী সুনেরাহ্​ বিনতে কামাল শিখে ফেলেছেন দেশি রান্নাও। এবারের ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেশি ধাঁচের নানা পদ রাঁধবেন তিনি।

 ঈদের দিন সকালে উঠেই প্রথমে নখ রাঙাবেন নখপালিশে। এরপর তৈরি হয়ে বোনের সঙ্গে রান্নার পালা শেষ করবেন। এবার যেহেতু ঘরেই থাকবেন, তাই ভার্চ্যুয়ালি সালামি আদায় করবেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন ভিডিও চ্যাটে। নকশার জন্য যে পদগুলো রেঁধেছেন, সেগুলো তাঁর বড় বোন সারার কাছ থেকেই শেখা। তবে এগুলোর মধ্যে সুনেরাহ্​ যোগ করেছেন নিজস্ব কৌশল। যে উপকরণগুলো পছন্দ করেন, সেসব রেসিপিতে নিয়ে এসে স্বাদে এনেছেন ভিন্নতা। আর এ সময়টা বেশি মিস করছেন ছবি তোলা বা ফটোশুট। অপেক্ষায় আছেন সব ঠিক হয়ে যাওয়ার। এর পরেই বের হয়ে যাবেন বেড়াতে

আস্ত মুরগির রোস্ট

উপকরণ: মাঝারি আকারের দেশি মুরগি ১টি, তেল ৪ কাপ, পেঁয়াজকুচি ৪ কাপ, হলুদ ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, টক দই ১ কাপ, শাহি জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোল মরিচের গুঁড়া সামান্য, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি দুই কাপ ও লেবুর রস প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: মুরগি লেবুর রস ও হলুদ দিয়ে মেখে রাখুন। প্রথমে তেল গরম করে ২ কাপ পেঁয়াজকুচি বাদামি করে ভেজে (বেরেস্তা) নামিয়ে নিন। একই তেলে মুরগি হালকা করে ভেজে নিন। মুরগি উঠিয়ে এবার এই তেলে বাকি ২ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর তাতে আদাবাটা, রসুনবাটা এবং সব গুঁড়া মসলা একসঙ্গে দিয়ে দিন। যোগ করুন এক কাপ পানি। কষিয়ে নিন ভালো করে। টমেটো সস দিয়ে আবার কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। 

এবার আস্ত মুরগি দিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। সাবধানে নেড়েচেড়ে মুরগিও কষিয়ে নিতে হবে। মুরগি কষানো হলে টক দইয়ের সঙ্গে বাকি গুঁড়া মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে কষানো মুরগিতে ঢেলে দিন। তেল ওপরে উঠে এলে পানি দিতে হবে। এই পর্যায়ে চুলার জ্বাল কিছুটা বাড়িয়ে দিন। মুরগি ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

শামি কাবাব

উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ২৫০ গ্রাম, বুটের ডাল ২৫০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, আদাবাটা আধা টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ ৭–৮টা, দারুচিনি ২টা, তেজপাতা ২টা, লবঙ্গ ২–৩টা, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ ও ডিম ১টা।

প্রণালি: গরমমসলা আর পেঁয়াজ বেরেস্তা বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিতে হবে পরিমাণমতো পানি দিয়ে। সেদ্ধ হয়ে গেলে বেটে নিন। এবার গরমমসলার গুঁড়া, ডিম এবং বেরেস্তা দিয়ে ভালো করে মথে নিতে হবে। হাতের তালুতে হালকা তেল মেখে নিয়ে গোল আকারে করে নিন। ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি শামি কাবাব।

মেথি চিংড়ি মালাই কারি

উপকরণ: চিংড়ি ৩০০ গ্রাম, তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ ২ কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলা আধা চা-চামচ, তরল ফুল ক্রিম দুধ ১ কাপ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাজুবাদাম ৪–৫টা, কাঁচা মরিচ ৬–৭টা, মেথি ১ চা-চামচ ও লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে আধা চা-চামচ আর সামান্য লবণ দিয়ে মেখে রাখা চিংড়িগুলো ভেজে তুলতে হবে। সেই তেলে পেঁয়াজকুচি বাদামি হয়ে এলে তাতে আদাবাটা, রসুনবাটাসহ বাকি সব মসলা দিয়ে দিন। এবার এক কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলা কষে এলে ভাজা চিংড়িগুলো দিয়ে আরেকবার কষিয়ে নিন। তেল ওপরে উঠে এলে দুধ আর কাজুবাদাম দিয়ে বেশি আঁচে রান্না করতে হবে। মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

আলু মটর পোলাও

উপকরণ: বাসমতী চাল ৩ কাপ, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেজপাতা ২টি, লবঙ্গ ৩টি, গোলমরিচ ৩–৪টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, টালা জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট আলু ২৫০ গ্রাম, টমেটো ১টি, মটরশুঁটি ১ কাপ।

প্রণালি: কড়াইতে তেল গরম হয়ে এলে তেজপাতা, গোলমরিচ, লবঙ্গ দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হয়ে এলে তাতে টমেটো দিন। টমেটো নরম হয়ে এলে আলু এবং মটর দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। ১ কাপ পানি দিতে হবে। সব একসঙ্গে কষানো হয়ে গেলে চাল দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এই পর্যায়ে ৪ কাপ পানি এবং গুঁড়া মসলা দিয়ে নাড়ুন, ঢেকে দিতে হবে। হালকা জ্বালে চুলার আঁচ রাখতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে দমে রাখতে হবে ৫–৬ মিনিট।