বাজার আসবে ঘরে

.
.

ভাবুন তো একবার, বাজারের মাছ-মাংস, আলু, পটোল, তেল, লবণ চলে এসেছে আপনার দরজায়। ঠুক ঠুক কড়া নেড়ে বলছে, ‘আমি হাজির।’ তাহলে কেমন হয়? অনুভূতি যা-ই হোক, হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাজার এখন হাজির হচ্ছে ঘরের দরজায়। তবে এই বাজারকে হাজির করতে হলে যেতে হবে www.meenabazar.com.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাজারের সঙ্গে পরিচিত আমরা। কিন্তু এমন আরামেও যাদের কেনাকাটা করার সময় নেই, তাদের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে মীনাবাজার। অনলাইনে ফরমাশ করলেই নিত্যনতুন সদাইপাতি নিয়ে ঘরের দরজায় হাজির হবেন মীনাবাজারের কর্মী। এমনই কিছু সুবিধা নিয়ে চালু হয়েছে মীনাবজারের ওয়েবসাইটটি।
মীনাবাজারের এ সাইটে আছে প্রায় চার হাজার পণ্য। এ তালিকায় যেমন আছে মাছ-মাংস, তেমনি শাকসবজিও আছে। এই বাজার থেকে নির্ধারিত পণ্য অর্ডার করলেই দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে চলে আসবে নিজের ঘরের দরজায়। পণ্য আসার পরেই পরিশোধ করা যাবে টাকা। চাইলে অর্ডার করার সময় কার্ডের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে। পণ্য অর্ডার করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। শুরুতে লগ ইন করে নিতে হবে। নিবন্ধনের মাধ্যমে আইডি খুলতে হবে। মীনাবাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রেতা অর্ডার দেওয়ার জন্য লগ ইন করার সময় তাঁর এলাকার নাম জানতে চাওয়া হয়। সেটা নির্বাচন করার পরপরই সেই এলাকার কাছাকাছি শাখায় এ অর্ডারটি চলে যায় এবং দ্রুততম সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি তাজা পণ্য তাড়াতাড়ি পাওয়ার নিশ্চয়তাও থাকে।
মীনাবাজারের ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক আহমেদ শোয়েব ইকবাল জানান, আপাতত ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনাবাসীর জন্য এ সেবা দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে মীনাবাজার কর্তৃপক্ষ।
তিন হাজার ৫০০ টাকার বেশি বাজার করলেই হোম ডেলিভারির জন্য আলাদা কোনো ফি গুনতে হয় না। এর কম হলে ডেলিভারি ফি দিতে হবে ১০০ টাকা।